যাদবপুরে আক্রান্ত শিক্ষামন্ত্রী: উপাচার্য হত্যার ইতিহাস মনে করিয়ে পাল্টা তৃণমূল

0
1

নিজেদের দোষ ঢাকতে একের পর এক যুক্তি সাজাতে শুরু করেছে বাম নেতৃত্ব। আদতে তাঁদের ইন্ধনে বাম ও অতিবাম ছাত্ররা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) যে অরাজকতা চালিয়েছে তাতে মুখ পুড়েছে গোটা রাজ্যের। ছাত্রদের তাণ্ডবে শুধু রাজ্যের মন্ত্রীই আক্রান্ত হননি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কালি লেগেছে। সেই বাম নেতারাই যখন বহিরাগত তত্ত্ব বা শিক্ষামন্ত্রীকে (Education Minister) গ্রেফতারির মতো দাবি নিয়ে সামনে আসে তখন তাঁদের যাদবপুর ক্যাম্পাসে উপাচার্য (Vice-chancellor) হত্যার উদাহরণ মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। ইতিমধ্যেই সাতটি এফআইআর (FIR) দায়ের হয়েছে। যার মধ্যে কিছু পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে ও কিছু শিক্ষক সংগঠনের (WBCUPA) পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার যাদবপুরে অতিবাম সমর্থক পড়ুয়াদের হামলার ছবি যখন সবার সামনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, তখন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) দাবি করার চেষ্টা করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন হয়েছিল। রাজ্যের সবথেকে বড় শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার ঘোষিত ও নিয়মমাফিক সম্মেলনকে বহিরাগতদের ঢোকানো বলে দাবি করেন সুজন। তার জেরেই ছাত্র আন্দোলন বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। সেখানেই যারা হামলা চালিয়েছিল তাদের কার্যকলাপ তুলে ধরে কুণাল ঘোষের জবাব, কোনও গুণ্ডা ছাড়া কেউ গাড়ির মাথায় উঠে জাতীয় পতাকা (National Flag) খুলে নেয় না। এদের স্বাধীন দেশের প্রতি কোনও শ্রদ্ধাভক্তি নেই। শিক্ষামন্ত্রী সামনের সিটে বসে রয়েছেন বলছে ইট আন। নেতিবাচক রাজনীতি এরা করতে চাইছে। ওয়েবকুপার (WBCUPA) সম্মেলনে হামলা হবে কেন। সিপিএম (CPIM) জমানায় কোনও সম্মেলনে কোনও মন্ত্রীর উপর হামলা হয়েছে এমন দেখাতে পারবে সিপিএম। দুদিন আগে থেকে ওখানে পোস্টারিং হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঘুরেছে।

তৃণমূলের তরফ থেকে হামলাকারীদের একের পর এক পর্দাফাঁস করার পরে গাড়ি চাপা দেওয়ার তত্ত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করেন সিপিআইএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। সেই অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) গ্রেফতারির মতো দাবিও তোলেন তিনি। সেখানেই পাল্টা যাদবপুরের হামলার রাজনীতি স্মরণ করান কুণাল। তিনি বলেন, এর আগে তো দেখা গিয়েছে উপাচার্য গোপাল সেনকে হত্যা করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। কে দায়িত্ব নিতেন তখন? ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হত্যার ইতিহাস রয়েছে। যারা শিক্ষামন্ত্রী গাড়ির সামনের সিটে বসা অবস্থায় গাড়ির কাঁচ ভাঙার চেষ্টা করে, হামলা করে, তারা এখন নাটক করতে নেমেছে।

সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন, পড়ুয়াদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে তা কতটা অযৌক্তিক। তাঁর প্রশ্ন, গাড়ির তলায় ভয়ঙ্করভাবে পিষে যাওয়ার এক্স-রে (X-Ray) রিপোর্টে কোনো ফ্র্যাকচার নেই। এই মিথ্যাচারের নাটক কতক্ষণ চলবে?