‘দিদির কীর্তি’কে সামনে রেখে প্রচারে ঝড় তুলতে নিজেই কলম ধরলেন মমতা

0
1

সরকারের কাজের খতিয়ান বই আকারে তুলে ধরতে এবার কলম ধরেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি দলের সাংসদ, বিধায়কদের কাছে দল নেত্রীর লেখা সেই বই পাঠানোও হয়েছে। আসলে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এই বই লেখা হয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল। দলের প্রচারে ‘দিদির কীর্তি’কে সামনে রেখে যাতে প্রচারে ঝড় তোলা যায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই বইটি লেখা হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের সাফল্যের সঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাজ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে।আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে এবং রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও প্রচুর কাজ করেছেন তিনি। সেই অতীতকে মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা একটা জরুরি রাজনৈতিক কর্তব্য।বহরে বইটি বেশ মোটা। এই বইয়ে ছাত্রাবস্থা থেকে রাজনৈতিক আন্দোলনে নিজের ভূমিকার কথা খোলাখুলি জানিয়েছেন দলনেত্রী।

কী নেই সেই বইতে? কংগ্রেসের সাংসদ থেকে মন্ত্রিত্ব সব কথাই অকপটে তুলে ধরেছেন মমতা। সংসদীয় জীবনে রাজ্যবাসীর জন্য তিনি যা করতে পেরেছেন, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা লিখেছেন, তিনি কখনই প্রচারে থাকতে ভালবাসেন না। তবু তাকে নিয়ে নেতিবাচক প্রচার হয়। সেই প্রচারের জবাব হিসেবেই নিজের কাজের কথা তুলে ধরতে এই বইটি লিখেছেন। ২০২৬-এ রাজ্যে বিধানসভার ভোট। তার আগে এই বইটির তাৎপর্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমবার সাংসদ হয়ে রাজ্যের উদ্বাস্তুদের জমির মালিকানা দেওয়ায় তার ভূমিকা কী ছিল, সে কথাও সবিস্তার বর্ণনা করেছেন মমতা।

সেই পর্বে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সহযোগিতার কথাও জানাতে ভোলেন নি মমতা। রেলমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের জন্য তিনি কী প্রকল্প এনেছেন, তারও পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা রয়েছে এই বইটিতে। এমনকী, রাজ্যের জমি আন্দোলনের কথাও তিনি বইতে লিখতে ভোলেন নি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার চালু করা প্রকল্পগুলির বিস্তারিত বিবরণও রয়েছে বইটিতে। তার এই বই নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত দলীয় নেতা মন্ত্রীরা।