অবৈধ আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন নিয়ে একটি বিশেষ আদালত মুম্বইয়ের দুর্নীতি দমন ব্যুরো (এসিবি)-কে নয়া নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ বিচারপতি এস ই বঙ্গর, থানের এক সাংবাদিক স্বপন শ্রীবাস্তবের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাক্তন সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই অভিযোগে বলা হয়েছে সেবি আধিকারিকরা বাজারে প্ররোচনা সৃষ্টি করা, কর্পোরেট জালিয়াতিকে প্রশ্রয় দিয়ে শেয়ার বাজারে বড় ধরনের জালিয়াতিতে জড়িত হয়েছেন, বাজার নিয়ন্ত্রকের নিয়ম ভেঙেছেন।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই অভিযোগগুলো একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যার তদন্ত হওয়া দরকার। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সেবি -এর নিষ্ক্রিয়তা বিচারিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করেছে, যা ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১৫৬(৩) এর আওতায় পড়ে। অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে যে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনার জন্য এসিবি-কে এফআইআর নথিভুক্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হোক। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সেবির সদ্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান মাধাবী পুরী বুচ, সেবির তিনজন পূর্ণকালীন সদস্য, বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ চেয়ারম্যান প্রমোদ আগরওয়াল এবং সিইও সুন্দরারামন রামমূর্তি।
আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, একটি কোম্পানিকে প্রতারণামূলকভাবে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং তাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সক্রিয় সহযোগিতা ছিল।শ্রীবাস্তবের দাবি করেন, তিনি ও তার পরিবার ১৩ ডিসেম্বর ১৯৯৪ সালে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ক্যালস রিফাইনারিজ লিমিটেড (Cals Refineries Ltd)-এর শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিলেন এবং এতে তারা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হন। তিনি অভিযোগ করেন, সেবি এবং বিএসই সংস্থাটির অপরাধকে উপেক্ষা করেছে, বেআইনিভাবে তালিকাভুক্ত করেছে এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আদালত সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রায় আদেশ অনুযায়ী, বিশেষ আদালত এই তদন্ত পর্যবেক্ষণ করবে এবং ৩০ দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট তাদের জমা দিতে হবে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–





























































































































