মেয়েকে বিষ, আত্মঘাতী মা! মধ্যমগ্রামে মা-মেয়ের মৃত্যুর কারণ খুঁজছে পরিবার

0
3

সংসারে অশান্তি নেই। সন্তানকে নিয়ে সুখী পরিবার। প্রতিবেশীদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক। সেই গৃহবধূ ও তাঁর পাঁচ বছরের সন্তানের দেহ উদ্ধারের (body recovery) ঘটনায় চাঞ্চল্য উত্তর ২৪ পরগণার মধ্যমগ্রামে (Madhyamgram)। শুক্রবার বিকালে দুজনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের পরে মৃত্যু নিয়ে ধন্দে পরিবারও। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। আত্মহত্যা না খুন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মধ্যমগ্রামের (Madhyamgram) দোহাড়িয়া শৈলেশ নগরের বাসিন্দা মধুমিতা রায় স্বামী ও পাঁচ বছরের সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সাত বছরের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ছিল না বলেই দাবি প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকেদের। স্থানীয় পিচ-বোর্ড কারখানার কর্মী সুমন রায় শুক্রবার অন্যদিনের মতোই কাজে বেরিয়ে যান। দুপুর ৩টে নাগাদ ফোনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাও হয়। সন্ধ্যার দিকে স্ত্রীকে ফোনে না পেয়ে প্রতিবেশী একটি দোকানে ফোন করেন সুমন।

এরপরই ওই বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়া ও মালিক দরজা ভেঙে মধুমিতা ও তাঁর কন্যা প্রশংসার রক্তাক্ত দেহ দেখতে পায় মেঝেতে। ঘরে বিষ (poison) পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে মধুমিতার গায়ে কেরোসিন (kerosene) ঢালা ছিল বলেও জানা যায়। তবে কীভাবে মৃত্যু তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ।

পরিবারের দাবি, শুক্রবারই সুমনকে একটি মেসেজ করেছিলেন মধুমিতা। যেখানে মধুমিতার বয়ানে দাবি করা হয়েছে তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। যদিও কাজের চাপে মেসেজ দেখেননি বলে দাবি সুমনের। পুলিশ মৃতদেহ দুটিকে ময়নাতদন্তের (post mortem) জন্য পাঠিয়ে সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।