বরফের নীচ থেকে উদ্ধার করা গেলেও শেষমেশ প্রাণ বাঁচানো গেল না বদ্রীনাথের তুষারধসে (Badrinath Avalanche) উদ্ধার হওয়া ৪ শ্রমিকের। চিকিৎসা চলাকালীন শনিবার তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তো বটেই, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশও (ITBP)তুষারধসের নীচে আটকে থাকা পাঁচ শ্রমিকের খোঁজ চালাচ্ছে।
শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের চামোলী জেলার (Chamoli Districts, Uttarakhand) মানা গ্রামে তুষারধস নেমে ৫৭ জন শ্রমিক আটকে পড়েন। অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হয়। কিন্তু মারাত্মক তুষারপাতের কারণে বারবার বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীদের। দৃশ্যমানতা কম থাকায় সমস্যা আরও বাড়ছে। শনিবার ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টার নামানো হয়। ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা যায় উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের যোশীমঠে সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় চারজনের। ইতিমধ্যেই ধসে আটকে পড়া শ্রমিকদের তালিকা প্রকাশ করেছে চামোলী পুলিশ। এদিন সকাল থেকে তুষারপাতের কারণে কর্ণপ্রয়াগের কাছে হৃষিকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক বন্ধ। দুর্যোগ চলছে পার্শ্ববর্তী হিমাচল প্রদেশেও। সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতে রাজ্যের অধিকাংশ জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পাঁচটি জাতীয় সড়ক সহ প্রায় ৫৮৩-র বেশি রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ। ২২৬৩টি বিদ্যুৎ সংবহনকারী ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যাওয়ায় অন্ধকারে ঢেকেছে একাধিক এলাকা। কুলুসহ উপরের দিকে পাহাড়ি অঞ্চলে এখনও বৃষ্টি ও তুষারপাত হয়ে চলেছে। বিভিন্ন জায়গায় হড়পা বান, ভূমিধসের খবর মিলেছে। নদীর ধার থেকে অধিবাসীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–





























































































































