রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআই-এর (SBI) এটিএম (ATM) মানেই যেন এখন আতঙ্ক সাধারণ নাগরিকদের। অরক্ষিত এটিএম থেকে বারবার প্রতারিত শহরের মানুষ। মোদি (Narendra Modi) সরকার যখন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার (Digital India) জয়ঢাক গোটা বিশ্বে বাজিয়ে বেড়াচ্ছেন, সেখানে বারবার প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে চোরেরাই বাজার কাঁপাচ্ছে। এবার সেইভাবেই প্রতারিত মুকুন্দপুরের প্রবীণ মহিলা। প্রতারকদের ফাঁদে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা হারালেন তিনি।
মুকুন্দপুরের (Mukundapur) বাসিন্দা অলকানন্দা সেনগুপ্ত বাড়ির কাছে নয়াবাদের একটি এসবিআই (SBI) এটিএমে যান। সেখানে এটিএম মেশিনের একটি চাবি কাজ করছিল না। তিনি সমস্যায় পড়তেই এক ব্যক্তি এগিয়ে আসেন। অরক্ষিত এটিএম-এ যে কোনও ব্যক্তি ঢুকে পড়া অবশ্য নতুন নয়। এক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছিল। সেই ব্যক্তি সেনগুপ্তকে পরামর্শ দেন কুইক ক্যাশ ব্যবস্থায় টাকা তুলতে।
সেই পদ্ধতিতেই তিনি এরপর তিনবার টাকা তোলেন। সেখানেই যে তাঁর এটিএম কার্ডটি (ATM card) বদল হয়ে গিয়েছিল, তা খেয়াল করতে পারেননি প্রাক্তন শিক্ষিকা। এরপর তিনি আচমকাই মেসেজ (message) পান তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা উঠেছে। সেই টাকা তিনি না তোলায় তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি অ্যাকাউন্ট চেক (account check) করে দেখেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার নয়, উঠে গিয়েছে ১ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা। সর্বস্ব খুইয়ে তিনি দ্বারস্থ হন এসবিআই-এর (SBI)।
কিন্তু সেখানেই তাঁকে হতাশ হতে হয়। এসবিআই কর্তৃপক্ষ জানান, টাকা ফেরানোর কোনও পথ নেই। বদলে যাওয়া কার্ডে টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে সোনার গয়না কিনতেও। কেন ১ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা উঠে গেলেও মাত্র ১০ হাজার টাকার মেসেজ (message) যায়, তা নিয়েও নিরুত্তর রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। অলকানন্দা অভিযোগ করেন, যদি এটিএম-এ নিরাপত্তা রক্ষী থাকতেন তাহলে বাইরের কেউ ভিতরে ঢুকতে পারত না সেই সময়ে। তিনি পুলিশের সাইবার শাখাতেও অভিযোগ জানিয়েছেন, যেখানে অপরাধী গ্রেফতার হলেও টাকা ফেরতের আশ্বাস পাননি তিনি।
–
–
–
–
–
–





























































































































