পুলিশি তদন্তে উঠে এল, যে ট্যাংরায়(tangra) দুই স্ত্রী ও কিশোরীকে খুন করেছে দাদা এবং ভাই। এই খুনের পিছনে অন্য কারো থাকার তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে জানাল পুলিশ।এই মূহূর্তে অভিযুক্তরা এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে তাদের গ্রেফতার করবে পুলিশ। যদিও দে পরিবারের নাবালকের দায়িত্ব নিতে কেউ রাজি নয়।কলকাতা পুলিশের কমিশনার(police comissioner) মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী নাবালকের দেখভালের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির দুই স্ত্রী সুদেষ্ণা, রোমি ও কিশোরী কন্যাকে খুন করা হয়। এরপর বাড়ির দুই ছেলে প্রণয় দে ও প্রসূন দে তাদের দুই স্ত্রী ও কিশোরী মেয়ের দেহ আগলে সারাদিন বাড়িতে ছিলেন।রাতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। তাদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তারপরই পুলিশ মৃতদেহগুলির কথা জানতে পারে।
প্রাথমিকভাবে সন্দেহের তির গিয়ে পড়ে দুই ভাইয়ের উপর। তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানিয়েছে, এই খুনে যুক্ত রয়েছেন দুই ভাই। বাড়ির বড় ছেলে প্রণয় দে সে কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি পুলিশের। জেরায় তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তার ভাই প্রসূনই হাতের শিরা কেটে ঘুমন্ত অবস্থায় খুন করেছেন তার স্ত্রী সুদেষ্ণা ও প্রসূনের স্ত্রী রোমিকে। এমনকী, প্রসূন তার ছেলের হাতও কাটার চেষ্টা করেন। তার সেই বয়ানকে সমর্থন করেছে প্রণয়ের ছেলে প্রতীপও। কাকা প্রসূনকেই কাঠগড়ায় তুলেছে সে। হাসপাতালের চিকিৎসাধীন প্রসূনের বক্তব্য, আমি কিছু করিনি। কী হয়েছে জানি না। এভাবে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হবে জানলে মরার অন্য পথ বেছে নিতাম।
–
–
–
–
–
–
–
–