‘দুষ্টু লোকেদের’ জন্য আটকে নিয়োগ! রাজনীতির উর্ধ্বে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিন: বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

0
3

রাজনীতির উর্ধ্বে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করুন- চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বার্তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। বাম আমলের চিকিৎসা ব্যবস্থার হাল তুলে ধরে তাঁর আমলে কতটা উন্নয়ন হয়েছে- তাঁর খতিয়ান দেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, কেন নিজের হাতে রেখেছেন স্বাস্থ্যদফতর।

এদিন প্রথমেই মঞ্চ থেকে অভয়ার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে নিজের বক্তব্য শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, অভয়ার শাস্তির দাবিতে তিনি নিজে রাস্তায় হেঁটেছিলেন। এমনকী ‘অপরাজিতা বিল’ও এনেছেন, যা এখনও রাষ্ট্রপতির কাছে পড়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চিকিৎসা ব্যবস্থায় যা কিছু সমস্যা যা কিছু অপপ্রচার, তা রুখতে ডাক্তারদেরই এক হতে হবে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। আর আপনাদের রং একটাই, মানবতার এবং সেবার। রাজনীতির কোনও রং দেখার দরকার নেই আপনাদের।“

এদিন স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, “বাম আমলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অবহেলা করা হয়েছে। একজন রাজ্যমন্ত্রী ওই দফতর দেখতেন। তাই টিমটিম করে চলত সব কিছু। আমি নিজের হাতে দফতরটা রেখেছি, কারণ একজন রাজ্যমন্ত্রীর পক্ষে এটা দেখা সম্ভব নয়। বামফ্রন্ট আমলে চিকিৎসার অবহেলা হতো। এই বিষয়টা সামগ্রিক ভাবে নজর রাখতে হয়, দেখতে হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজারটা ভাল করলেও বেরোবে না। একটা খারাপ কাজ করলে এমন প্রচার হয়, যাতে মনে হয় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কেউ কোনও কাজ করছেন না। চিকিৎসক মানে সেবা-নিষ্ঠা-জ্ঞান-মানবতা-সমবেদনা।

জাল ওষুধ নিয়ে সতর্ক করে মমতা বলেন, “আজকাল ফেক ওষুধও (Medicine) বেরিয়ে গেছে। মানুষের লোভ এত বেড়ে গেছে, একটা ভাল কাজকে খারাপ করে দিতে এক সেকেন্ড লাগে। আপনারা ছিলেন বলেই আজ এত ভাল সব কিছু হয়েছে। আমি আগে যেতাম পিজি, শম্ভুনাথ, মেডিক্যাল কলেজ– এইসব সরকারি হাসপাতালে। সব জায়গায় ছোট্ট ছোট্ট গেট ছিল। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বেরোনোর উপায় নেই। আমরা তখনই গেটগুলো আগে বড় করি, হাসপাতাল রং করি, নাইট শেল্টারের ব্যবস্থা করি।“ এদিন তিনি জানান, ৮.৫ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় এসেছেন।

একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জেলা হাসপাতালগুলোকে (District Hospital) বলছি, হঠাৎ রেফার করবেন না। কলকাতায় সামলানো মুশকিল হয়ে যায়। আমরা রাজ্যে ৪৩৫৪টি এমবিবিএস সিট বাড়িয়েছি। ২৬ হাজার নার্সিং সিট বেড়েছে। তবে নিয়োগ হচ্ছে আরও। কয়েক লক্ষ ছেলেমেয়ের নিয়োগ বন্ধ হয়ে আছে। কারণ ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে একটা মামলা করা হয়েছে। কিছু দুষ্টু লোক আছে যারা কাজের কাজ করে না। অকাজের কাজ করে। একটা মামলা ঠুকে দিল, আর সব আটকে রইল। কত নিয়োগ আটকে আছে।“