লোকসভা থেকে বিধানসভা এমনকি পঞ্চায়েত স্তরেও প্রায় শূন্যে সিপিআইএম। তা সত্ত্বেও খরচের বহর করে রাজ্য সম্মেলনের খামতি নেই। অথচ সেই সম্মেলন শেষেও উত্তর নেই শূন্য থেকে উঠে দাঁড়ানোর উপায় কি? কার্যত শূন্যে নেমে যাওয়া ও সেই গেরো থেকে বেরোতে না পারার দায় কাদের, তা নিয়েই নিরুত্তর সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য কমিটি। সাজসজ্জায় বদলের চমক আনার চেষ্টা থাকলেও নেই উঠে দাঁড়ানোর কোন দিশা।
সিপিআইএমের ২৭তম রাজ্য সম্মেলনে একপেশে বিষয়ের উপরে আলোচনা চলল দ্বিতীয় দিনেও। ডানকুনি (Dankuni) সম্মেলনে গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন থেকে অর্থনীতি – দেশের জন্য যে নীতি বাংলার জন্যও আশ্চর্যজনকভাবে একই নীতিতে চলার পথে সিপিআইএম (CPIM)। সেখানেই স্পষ্ট হয়ে গেল কেন বাংলার মানুষের মন পান না লাল ঝাণ্ডাধারীরা। গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে লক্ষ্য থাকলেও সেখানে শুধুই রাজ্যের শাসকদলের সমালোচনা। সিপিআইএমের পক্ষ থেকে উন্নয়নে কোন নতুন পথ বেরিয়ে এলো না দ্বিতীয়দিনেও।
২০১৬ সালের পর থেকে শীর্ষ নেতৃত্বে মুখ বদল করে রাজ্যের মন জয়ের চেষ্টা করেছিলেন সিপিআইএম (CPIM) নেতৃত্ব। ২৭তম সম্মেলনেও (27th Conference) বিভিন্ন শাখা সংগঠনে সেই সব নতুন মুখ দেখা গেল। কিন্তু ইতিবাচক আলোচনা, যাতে রাজ্যের মানুষের উপকার হতে পারে তেমন সদুত্তর বেরিয়ে এলো না।
প্রবীণ নবীনের সমাহার করে হুগলির মতো জেলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নামাঙ্কিত নগর তৈরি করে খানিকটা কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করেছিল সিপিআইএম। কিন্তু ওই পর্যন্তই। নতুন পথ তৈরির আগে ভাঙনের বিশ্লেষণে নারাজ বামেরা। শুধুই একপেশে তৃণমূল সমালোচনা ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট তৈরির মতো নীতিতে ভরাডুবির দিকে ঠেলে দেওয়ায় দায়িত্ব কাদের, সেই উত্তর উঠে এলো না ডানকুনির সম্মেলন থেকে।
–
–
–
–
–
–