একজন ভিআইপির যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে আটকে রাখা যাবে না। সোমবার ধনধান্যে চিকিৎসকের সঙ্গে বৈঠকে এই কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, সাধারণ আর পাঁচজনের মতো মন্ত্রী-আমলা-সরকারী আধিকারিকদেরও দাঁড়াতে হবে সিগন্যালে। পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা, ডিজি রাজীব কুমার, মুখ্যুসচিব মনোজ পন্থ, স্বাস্থ্যাসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের সামনেই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, বাংলায় কোনও ভিআইপির জন্যজ গাড়ি বন্ধ থাকবে না।
মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, “আমি ট্রাফিক জ্যামে দাঁড়িয়ে থাকতে পছন্দ করি। আমি কোনও হরিদাস নই যে সিগন্যালে (Traffic Signal) দাঁড়াতে পারব না। আমি মনে করি গাড়ি চললে মানুষের গতি এগিয়ে যায়। একজন ভিআইপি যাবে বলে মানুষকে আটকে দেওয়া আমি পছন্দ করি না।“ চিরকালই সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকতে পছন্দ করেন মমতা। সেই উদাহরণ টেনেই এদিন মুখ্যলমন্ত্রী বলেন, “আমি কখনও পুলিশকে বলি না, আমার গাড়ি গেলে একটাও গাড়ি আটকাবে। আমি পছন্দ করি ট্রাফিক জ্যা মে দাঁড়িয়ে থাকতে।”
মুখ্য মন্ত্রীর কথায়, “আর পাঁচজন সাধারণ মানুষ যদি ট্র্যাাফিক সিগনালে (Traffic Signal) দাঁড়াতে পারে, আমিও পারব। আমি কোনও হরিদাস নই। আমি পছন্দ করি সাধারণ মানুষের মতো চলতে।” উষ্মা প্রকাশ করে মমতা বলেন, “কেউ কেউ ট্রাফিক সিগনালে অতি ব্য্স্ততা দেখায়। আমার এটা ভাল লাগে না। আমি বলতে বলতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছি। একজন ভিআইপি যাবে বলে অন্যল গাড়ি বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ মানুষকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা উচিৎ নয়। মনে রাখবেন সবারই কাজ থাকে।”
মুখ্যিমন্ত্রীর মতে, “যদি সবাই সিগনাল মানে তাহলে গ্রিন করিডর করার প্রয়োজন পড়ে না।” একই সঙ্গে ডিজি রাজীব কুমার, পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে উদ্দেশ্যন করে মমতা বলেন, “শুধু লক্ষ রাখবেন রাস্তার ক্রসিংগুলোয় যেন দুর্ঘটনা না ঘটে।”
আরও খবর: দুর্ঘটনা ঠেকাতে নয়া পদক্ষেপ! এবার শহরে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ বেঁধে দিল লালবাজার, অমান্য করলেই শাস্তি
এদিন প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যরমন্ত্রী। এর জন্য বিধায়ক-সাংসদদের তহবিলের টাকা দিতে অনুরোধ করেন মমতা। মুখ্যীমন্ত্রীর কথায়,”বিধায়ক-সাংসদদেরও সামাজিক কর্তব্য বোধ আছে। এটা একসময় আমিও করেছি। আজ যে ট্রাফিক স্ট্যা ন্ডে গান হয়, দক্ষিণ কলকাতার একাধিক সুদৃশ্যক বাস স্ট্যাীন্ড, স্কুলের বাইরে অভিভাবকদের বসার জায়গা, শ্মশানের বাইরে সৌন্দর্যায়ন-এগুলো আমি এমপি ল্যা ডের টাকা থেকে করেছিলাম। এখন সরকারি ভাবে হয়।”
–
–
–
–
–