সরকারি চিকিৎসকদের বেতন বৃদ্ধিতে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর: তালিকায় ইন্টার্ন থেকে সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তাররাও

0
1

চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার, আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে চিকিৎসকদের (Doctor) সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণ করেন, ইন্টার্ন থেকে সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার- সবার বেতন ও ভাতা গড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি করা হল। মমতার ঘোষণা মাত্রই অডিটোরিয়ামে খুশির হাওয়া। হাততালি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান উপস্থিত সকলে। একই সঙ্গে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের ন্যূনতম ৮ ঘণ্টা পরিষেবা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও তার উন্নতির কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জন্য চিকিৎসকদের সাধুবাদ জানান তিনি। এর পরেই বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করেন মমতা। জানান, “ইনটার্ন, হাউস স্টাফ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি-দের ভাতা ১০ হাজার টাকা করে বাড়ানো হল“। এর পরেই তিনি ঘোষণা করেন, “সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের বেতন বাড়ানো হল ১৫ হাজার টাকা করে। ডিপ্লোমা সিনিয়র রেসিডেন্টদের বেতন ৬৫ হাজার থেকে বেড়ে হবে ৮০ হাজার। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সিনিয়র রেসিডেন্টদের বেতন বেড়ে হবে ৭০ হাজার থেকে বেড়ে হবে ৮৫ হাজার। আর পোস্ট গ্রাজুয়েট সিনিয়র রেসিডেন্টদের বেতন বেড়ে হবে ৭৫ হাজার থেকে বেড়ে হবে ১ লক্ষ।“ একই সঙ্গে মমতা জানান, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের ন্যূনতম ৮ ঘণ্টা পরিষেবা দিতে হবে।

এদিন বৈঠকে যোগ দেন মেডিক্যাল কলেজগুলির (Medical College) অধ্যক্ষ, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ছিলেন বহু চিকিৎসক। তাঁদের সামনে রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে সাফল্যের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “স্বাস্থ্যসাথীর সাফল্যে ডাক্তারদের বিরাট অবদান রয়েছে।  বাংলায় এখন দেশের সেরা গণ-পরিকাঠামো। সরকারি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই ৪০ হাজার বেড বেড়েছে। পাশাপাশি ডাক্তারের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ২৫ হাজারের বেশি নার্সের সংখ্যাও বেড়েছে। জেলা হাসপাতালগুলিকে বলি, হঠাৎ করে রেফার করবেন না। কারণ কলকাতায় সামলানো অসুবিধা হয়ে যায়।“
আরও খবর: মদ্যপ যুবকদের থেকে বাঁচতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু চন্দননগরের তরুণীর

মুখ্যমন্ত্রী জানান, “সরকারি ডাক্তারদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে ৬৫ বছর করা হয়েছে। মহিলা ডাক্তারদের জন্য ৫ টি হোস্টেল তৈরি হচ্ছে। আমাদের পাওনা অনেক টাকা পয়সা বন্ধ রাখা হয়েছে। জিএসটির যে ভাগ রাজ্যের পাওয়ার কথা, তা আমরা পাই না।“

আর জি করের ঘটনার পরেই হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এদিন তিনি বলেন, “হাসপাতালের নিরাপত্তায় এক্স সার্ভিসম্যানদের রাখা হোক। পুলিশকেও নজরদারি বাড়াতে হবে। পুলিশকে মোবাইল ভ্যান আরও বাড়াতে হবে। আজকাল সাইবার ক্রাইম হচ্ছে। সেই অপরাধ ঠেকাতে পুলিশকে সাইবার ট্রেনিং দিতে হবে। গলির কোনায় কোনায় ওয়াচ টাওয়ার লাগাতে হবে। দরকার হলে সাংসদ, বিধায়কদের তহবিল থেকে টাকা নিয়ে ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হোক।“