বাংলাদেশের কক্সবাজারে বিমানঘাঁটিতে দুষ্কৃতী হামলায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ এই হামলার কথা স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে।জানা গিয়েছে, এই হামলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।নিহতের নাম শিহাব কবির নাহিদ (৩০)। তিনি কক্সবাজার পিটিআইয়ের প্রাক্তন সুপারিনটেনডেন্ট নাসির উদ্দীন ও কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান আমেনা বেগমের একমাত্র সন্তান।নাহিদ পেশায় ব্যবসায়ী ও বিএনপির স্থানীয় নেতা বলে জানা গিয়েছে।আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ শাহাদাতসহ (৩৮) পাঁচজনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আইএসপিআর(ispr) জানিয়েছে, ওই বিমানঘাঁটির পাশের সমিতি পাড়ায় কিছু দুষ্কৃতী সোমবার দুপুরে হামলা চালায়।এই ঘটনায় ইউনূস সরকারের ব্যর্থতাই সামনে এসেছে বলে মত ওয়াকিবহালমহলের। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নিরাপত্তা যে তলানিতে এসে ঠেকেছে্, এই দুষ্কৃতী হামলায় তা স্পষ্ট হয়ে গেল।নিজের দেশের একটি বিমানঘাঁটির নিরাপত্তাও দিতে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার।এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের(bangladesh) বিমানবাহিনী আসরে নেমেছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মহম্মদ সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, কেন হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার নেপথ্যে যারা জড়িত, তাদের কেউ ছাড়া পবাবে না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার পরই বিমানঘাঁটি এবং তার সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে যাতে ওই এলাকায় কোনও অশান্তি না ছড়ায়, সে দিকেও নজর রেখেছে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সমিতিপাড়া(samitypara) এলাকার কয়েকজন সোমবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবীবিষয়ক সম্পাদক ও প্রাক্তন সাংসদ লুৎফর রহমান কাজলের সঙ্গে দেখা করতে যান। ফেরার পথে বিমানবাহিনীর ডায়াবেটিস পয়েন্ট চেকপোস্টে আটক করা হয় শিক্ষানবিশ আইনজীবী জাহেদকে। বিমানবাহিনীর সাদা পোশাকধারী একটি দল তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।জাহেদের আটকের খবর সমিতিপাড়ায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় যুবকরা জাহেদকে ছাড়াতে বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে চলে আসে। এই সময় বিমানবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের প্রথমে বচসা হয়। পরে মাথায় গুলিবিদ্ধ নাহিদের দেহ তার নিজের বাড়ির সামনেই পাওয়া যায়।
–
–
–
–
–
–
–