কে খুন করেছে ট্যাংরার(tangra) দে পরিবারের ২ বধূকে। ভাই প্রসূন দেই খুনি বলে জানিয়েছেন দাদা প্রণয় দে। প্রতীপের বক্তব্যে সমর্থন প্রণয়ের, উল্টো কথা প্রসূনের। প্রতীপের বাবা প্রণয়,কাকা প্রসূন। তবে প্রণয়ের বক্তব্য এখনই বিশ্বাস করতে চাইছে না লালবাজার। পুলিশ আপাতত দুই ভাই প্রসূন ও প্রণয় এবং প্রসূনের কিশোর পুত্রের সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায়। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, সুস্থ হলে দুই ভাইকে গ্রেফতার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, প্রণয় চামড়ার ব্যবসার পাশাপাশি জ্যোতিষবিদ্যার চর্চাও করতেন। এলাকার অনেকেই নাকি তাঁর কাছে হাত-দেখানো-সহ ওই সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রয়োজনে আসতেন। এই তথ্য হাতে আসতেই ফের এই ঘটনার অন্যদিকটিও খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা।
এই ব্যতিক্রমী আত্মহত্যার ঘটনার সঙ্গে কোনও জ্যোতিষী বা কোনও জ্যোতিষ-যোগ আছে কিনা সে সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। বিষয়টি নিয়ে প্রণয় এবং প্রসূনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। তবে কিশোর প্রতীপের বয়ানের পর পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত বাড়ির তিন মহিলা সদস্যকে খুনের পিছনে দুই ভাই-ই রয়েছেন। কারণ, পুলিশি তদন্তে এখনও পর্যন্ত কোনও বহিরাগতর অস্তিত্ব মেলেনি। তবে ঘটনার সাতদিন আগে থেকে বাড়ির সমস্ত সিসিটিভির সংযোগ কেন কাটা হয়েছিল তার উত্তর পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা।
এদিকে, তিনজনের বেসরকারি হাসপাতালের বিল নিয়ে জটিলতা পুরোপুরি মেটেনি। তাদের তরফে কেউ ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিল মিটিয়ে দিতে এগিয়ে আসেননি। এরই মধ্যে কিছুটা সুস্থ প্রণয়কে এনআরএসে ভর্তি করিয়েছে পুলিশ। শনিবার প্রসূনের ছেলের বয়ানে পরিবারের তিনজনের মৃত্যু রহস্যের জট অনেকটাই খুলেছে বলেই দাবি পুলিশের। ওই কিশোরের বয়ানের সঙ্গে প্রণয়ের বয়ান অনেকটাই মিলে যাওয়ায় পুলিশের ধারণা দুই ভাই মিলেই সাতদিন ধরে এই নজিরবিহীন আত্মহননের পরিকল্পনা করেছিলেন।
–
–
–
–
–
–
–
–





























































































































