ফের ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। বরাক-ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসে (Barak-Brahmaputra Express)আগুন লেগে যায় ২২ ফেব্রুয়ারি। ঘটনাটি ঘটে অসমের(assam) কাছার জেলার বিহারা রেল স্টেশনের ঢিল ছোড়া দূরত্বে। এই ট্রেনটি শিলং থেকে তিনসুকিয়া যাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ট্রেনের স্লিপার ক্লাসের চাকায় আগুন লেগে গিয়েছিল।অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছান রেল পুলিশ এবং স্টেশনের কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে হাত দেন রেলকর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। রাত ৯টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ৪৫ মিনিট ট্রেনটি বিহারা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থেকে পরে ফের তিনসুকিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। এই দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রী হতাহত হননি।
তবে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, যাত্রীরা বেশ কিছুক্ষণ ধরেই পোড়া পোড়া গন্ধ পাচ্ছিলেন। পরে আগুন লাগার বিষয়টি বুঝতে পেরে ভয়ে অনেকেই ট্রেন থেকে নেমে পড়েন।এদিকে ২২ ফেব্রুয়ারি বরাক-ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের কারণ হিসাবে রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই আগুন লেগেছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, এদিনই অল্পের জন্য রক্ষা পেল এনজেপি-চেন্নাই এক্সপ্রেস(chennai express)। শনিবার ওড়িশার বালাসোরের কাছে ট্রেনের নীচ থেকে যন্ত্রাংশ খুলে যায়। ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে গিয়েছিল ট্রেনটি। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লোকো পাইলটের সতর্কতা ও উপস্থিত বুদ্ধির কারণে সব যাত্রীর জীবন রক্ষা পেয়েছে। তবে এই দুর্ঘটনার জেরে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। যদিও একাধিক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ট্রেনটি বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তেই বহু মানুষ জড়ো হয়ে যান। যাত্রীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। অবশ্য এভাবে ব্যাটারির একাংশ খুলে পড়ে যাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে বিরাট প্রশ্ন উঠেছে।
–
–
–
–
–
–
–
–