শুক্রবারের চিরাচরিত নমাজের জন্য বরাদ্দ সময় দেওয়া বন্ধ করে দিল ডবল ইঞ্জিন হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himant Biswasharma) সরকার। বিধানসভায় বিধায়কদের জন্য শুক্রবার নমাজ (namaz) পাঠের যে সময় বরাদ্দ থাকত, চলতি সপ্তাহ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হল। গায়ের জোরে ধর্মীয় আচরণে বাধা দিয়ে অসম মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, ইংরেজ আমলের রীতির অবসান করতে এই পদক্ষেপ। যদিও বিরোধীদের দাবি, বিধানসভার ৩০ মুসলিম ধর্মাবলম্বী বিধায়ক এর ফলে বিধানসভার গুরুত্বপূর্ণ অলোচনা থেকে বঞ্চিত হবেন, শুধুমাত্র আসন সংখ্যার জোরে নিয়ম প্রণয়নের কারণে।
এই সপ্তাহের শুক্রবার থেকেই বিধানসভায় নমাজ পড়ার জন্য যে সময় বরাদ্দ করা থাকত বিধায়কদের জন্য, সেই সময় দেওয়া বন্ধ করে দিল অসম (Assam) সরকার। শুক্রবার চলছিল বাজেট অধিবেশন (budget session)। সেই অধিবেশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশে আগে থেকে ঘোষণা করা মতোই নির্ধারিত নমাজের (namaz) কোনও সময় দেওয়া হয়নি। অধ্যক্ষ জানান, ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি মেনেই অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক নিয়মে চলা উচিত শুক্রবারের অধিবেশনও। তাই অগাস্ট মাসে নেওয়া সিদ্ধান্ত বলবৎ করা হল বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই।
১৯৩৭ সাল থেকে অসমে শুক্রবার বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন নমাজ (namaz) পাঠের জন্য বিশেষ সময় বরাদ্দ করার নিয়ম চলে আসছে। মুসলিম লিগের (Muslim League) সময় থেকে প্রবর্তন হয়েছিল এই নিয়ম। যদিও এই নিয়ম বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের (Himant Biswasharma) দাবি, তিনি ব্রিটিশদের সাম্রাজ্যবাদী নীতিতে অবসান আনলেন। যেভাবে উত্তর ভারতের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ইতিহাস মুছে ফেলে মুঘল আমল থেকে চলে আসা স্থান বা রাস্তার নাম বদলে হিন্দু রাজনীতি কায়েম করার পথে হেঁটেছে বিজেপি, ডবল ইঞ্জিন অসমেও (Assam) তার ব্যতিক্রম হল না। ইংরেজ আমলে দোহাই দিলেও আদতে মুসলিম বিরোধী নীতি প্রয়োগে তৎপর অসম সরকার, তা আরও একবার প্রমাণিত এই সিদ্ধান্তে।
–
–
–
–
–
–
–