সম্প্রতি একটি নতুন গ্রহাণু (asteroid) পৃথিবীর বুকে ধেয়ে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গতবছরই এই গ্রহাণুর অবস্থান বুঝতে পারে নাসা (NASA)। এরপরই শুরু হয় গণনা, কবে পৃথিবীতে এসে পৌঁছাতে পারে এই গ্রহাণু। তবে নাসার সাম্প্রতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা বলছে ৭ বছর পরে গ্রহাণু পৃথিবীতে এসে পৌঁছালেও তার তীব্রতা থাকবে একেবারেই কম।
গ্রহাণু ২০২৪ ওয়াইআরফোর (2024 YR4) বিজ্ঞানীদের নতুন মাথাব্যাথার কারণ। এই গ্রহাণু শক্তিশালী টেলিস্কোপের সাহায্যে এই গ্রহাণুর উপর ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে নাসা। বিজ্ঞানীদের অনুমান ২০৩২ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারে এই গ্রহাণুর (asteroid)। তবে এরপরে সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের কিছু গবেষণায় শোনা গিয়েছে আসার কথা। কিছুদিন আগে নাসা (NASA) জানিয়েছিল পৃথিবীর সঙ্গে এই গ্রহাণুর (asteroid) সংঘর্ষের সম্ভাবনা ৩.১ শতাংশ। আবার ১৯ ফেব্রুয়ারির পর্যবেক্ষণ জানাচ্ছে সেই সম্ভাবনা কমে ১.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মূলত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শক্তি ক্ষয় হচ্ছে এই ২০২৪ ওয়াইআরফোরের।
বিজ্ঞানীদের অনুমান ২২ ডিসেম্বর ২০৩২ পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারে এই গ্রহাণুর (asteroid)। কোন পথে গ্রহাণু পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারে তারও একটি নকশা বানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর আগে চাঁদের (moon) সঙ্গেও সংঘর্ষের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও বিজ্ঞানীদের অনুমান তার আশঙ্কা ০.৮ শতাংশ। তবে পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের যে সম্ভাবনা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা আরো কমতে পারে বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের।
নাসার (NASA) নকশা অনুযায়ী গ্রহাণুর (asteroid) আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা বিরাট এলাকা জুড়ে হতে পারে। প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean) এলাকাও সেখানে যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে আরব সাগর এলাকাও। নজরে রাখা হচ্ছে বিশেষ কিছু শহর যার মধ্যে রয়েছে মুম্বই, কলকাতা, ঢাকা। তবে আছড়ে পড়ার তীব্রতা যত কমছে তত শহরগুলির নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কাও কমছে, বলাই বাহুল্য।
–
–
–
–
–
–