মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে তিন খুনের নেপথ্যে থাকা অপরাধীকে গ্রেফতার করল বীরভূম পুলিশ (Birbhum Police)। মহম্মদবাজারের (Mohammedbajar) একই পরিবারের মা ও দুই সন্তানের খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল দুজনকে। আটক আরও দুই। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে মহম্মদবাজার ও মল্লারপুর থানার সীমানার ম্যানেজার পাড়া এলাকায় দুই নাবালকসহ এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকে মৃত লক্ষ্মী মাড্ডির মোবাইল ফোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। সেই মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরেই পুলিশ মল্লারপুরে (Mallarpur) পৌঁছায়। সেখানে সুনীল মিদ্দার বাড়ি থেকে আটক করা হয় নয়ন বিত্তার নামে এক যুবককে।
পুলিশি জেরায় উঠে আসে লক্ষ্মীর সঙ্গে নয়নের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক (extra marital affair) ছিল। সেই সূত্রেই বৃহস্পতিবার রাতে লক্ষ্মীর স্বামী অভিজিৎ বাড়িতে না থাকার সুযোগে বাড়িতে আসে নয়ন। সেই সময়ই খুন বলে জেরায় পুলিশকে জানায় সে। এরপর রাতে মল্লারপুরে সুনীল মিদ্দার বাড়িতে আশ্রয় নেয় সে। পুলিশ দুজনকেই গ্রেফতার করেছে। সেই সঙ্গে তাদের আরও দুই পরিচিতকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।
বীরভূম পুলিশ সুপার (SP) আমনদীপ জানান, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে নয়ন। সোমবার তাকে সিউড়ি আদালতে পেশ করা হবে। তবে শুক্রবার সকাল থেকে এই ঘটনায় অযথা দেওচা-পাঁচামি কয়লাখনিকে জুড়ে রাজনীতি করার চেষ্টা চালিয়েছিল বিজেপি। কার্যত বিজেপি নেতাদের দূরদৃষ্টির অভাবের মুখে ঝামা ঘষে ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার আততায়ী। অন্যদিকে এদিন সরিয়ে দেওয়া হয় মহম্মদবাজার থানার আইসি অরূপ দত্তকে। চলতি দেওচা-পাঁচামি কয়লাখনির কাজের জন্য রুটিন বদলি বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
–
–
–
–
–
–





























































































































