কপাল জোড়ে রক্ষা পেল বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। শুক্রবার দুপুরে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার বেলমুড়ি স্টেশন লাগোয়া রেললাইনে(railline) বড়সড় ফাটল দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।তারাই খবর দেন রেলের গেটম্যানকে।সেই গেটম্যানই সিগনাল লাল করে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেন। ফাটলের খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেলকর্মীরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ফাটল মেরামতের কাজ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার বেলমুড়ি স্টেশনের কিছুটা দূরে আপ লাইনে ফাটল ধরেছিল। খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত সেখানে যান ৪০ নম্বর গেটের কর্তব্যরত গেটম্যান। ওই লাইন দিয়ে মিনিটখানেক পরেই ট্রেন যাওয়ার কথা ছিল। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে লাল ঝাণ্ডা এনে লাইনে পুঁতে দেন গেটম্যান। এরপরেই ঘটনাস্থলে এসে পড়ে ট্রেনটি। চালক বিপদ বুঝে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে দেন। এক রেলযাত্রী বলেন, ট্রেনটা বেশ ভাল গতিতেই যাচ্ছিল। হঠাৎ একটা ঝাঁকুনি হয়। এর পরেই চালক বুঝতে পেরে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে দেযন। অনেক যাত্রী কৌতূহলে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন।
এক্সপ্রেস ট্রেনের পিছনে দাঁড়িয়ে পড়ে বর্ধমানগামী(bardhaman) একাধিক লোকাল। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় ভিড় জমে যায়। এরপর খবর যায় রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাছে। ওই বিভাগের কর্মীরা এসে লাইন ওয়েলডিং করা শুরু করেন। পূর্ব রেলের মুখপাত্র দীপ্তিময় দত্ত জানিয়েছেন, এই বিপত্তির কারণে দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটে পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল আপ-কর্ড লাইনে।
রেলের কর্মীরা জানিয়েছেন, শীতের শেষে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলেই লাইনে এই ধরনের ফাটল ধরে। যদিও এর জন্য ইস্পাতের মানকেই দায়ী করেছেন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মীরা। লাইন তৈরির সময় যে পরিমাণ হাইড্রোজেন ব্যবহার করলে এই জাতীয় বিপত্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, পরিকাঠামোর অভাবে তা দেওয়া হয় না বলে তারা জানান।
–
–
–
–
–
–
–