ট্যাংরা কাণ্ডের নেপথ্যে কোন রহস্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ

0
1

যত সময় গড়াচ্ছে ততই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। ট্যাংরায় (Tangra Police) আদৌ কি আত্মহত্যার কারণে মৃত্যু বাড়ির তিন সদস্যের নাকি পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে? মৃত ছোট বউ রোমি দে- র (Romi Dey) বাপের বাড়ির তরফে ইতিমধ্যেই খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্যাংরার তদন্তে পুলিশের নজরে আপাতত আর্থিক সমস্যাকে প্রাধান্য দিয়ে দুই ভাইয়ের অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতদের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। এমনকি তাঁরা রাতে যে পায়েস খেয়েছিলেন তাতে প্রচুর পরিমাণে ঘুমের ওষুধের অস্তিত্ব মেলায় পরিকল্পিতভাবে খুনের তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বাড়ির দুই পুরুষ সদস্য যে বয়ান দিয়েছেন তাতেও বেশ কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে তদন্তকারীদের মনে। বাড়িতে বৈভবের চিহ্ন স্পষ্ট, কোম্পানির কোনও কর্মচারীর মাইনে বাকি নেই, বছরে দুই থেকে পাঁচ কোটি টাকার টার্ন ওভার কোম্পানির অথচ বারবার আর্থিক সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করতে চাইছেন বাড়ির দুই কর্তা। পুলিশ জানতে পেরেছে দুর্ঘটনার সময় প্রণয়- প্রসূনের গাড়ির সিট বেল্ট লাগানো ছিল। তাঁরা যদি আত্মহত্যা করতে চাইবেন তাহলে সেক্ষেত্রে এত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করবেন কেন? এছাড়া ট্যাংরার বাড়ির তিনতলার ডাইনিং- এ রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। নাবালিকা কিশোরীর দেহের কালশিটে থেকে একাধিক সন্দেহ উঁকি দিচ্ছে। মহানগরীর হাড় হিম করা ঘটনার রহস্য উন্মোচনে ট্যাংরা থানা (Tangra Police) এবং কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা তাকিয়ে রয়েছেন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকে।