নিউদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের (stampede) ঘটনা অবশ্যই এড়ানো যেত যদি রেল নিজের তৈরি নিয়ম নিজে মানত। পদপিষ্টের ঘটনায় দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় ভারতীয় রেলের অব্যবস্থাকে কড়া প্রশ্ন প্রধানবিচারপতি দেবেন্দ্র কুমার উপাধ্যায়ের। টিকিট বিক্রি নিয়ে নিজেদের তৈরি নিয়ম পালনের জন্য কী নীতি অবলম্বন করবে রেল, তা সবিস্তারে জানানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
ট্রিপল ইঞ্জিন নিউ দিল্লিতে (New Delhi) পদপিষ্টের ঘটনার পরে প্রথমে ধামাচাপা ও পরে তদন্তের নামে প্রকৃত দোষীকে আড়ালের আপ্রাণ চেষ্টা চলে। এবার সেই ঘটনার জনস্বার্থ মামলায় রেলেরই আইন তুলে ধরে প্রশ্ন ওঠে দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court)। প্রধান বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায় ও বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চে সেই শুনানিতে রেলওয়ে আইন, ১৯৮৯-এর ৫৭ নম্বর ধারা ও ১৫৭ নম্বর ধারা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। আবেদনকারী দাবি করেন, ওইদিন দিল্লি স্টেশনে প্রয়াগরাজের সাধারণ টিকিট প্রায় ৯ হাজার বিক্রি হয়েছিল।
সেখানেই প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যদি প্রতি কোচে যাত্রী বহনের একটি নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারিত থাকে, তাহলে সেই সংখ্যা অতিক্রম করে অতিরিক্ত টিকিট (ticket) বিক্রি করা হচ্ছে কেন? আদালত মন্তব্য করে, আপনি যখন নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী বহনের সীমা (limit) নির্ধারণ করেছেন, তখন সেই সংখ্যার চেয়ে বেশি টিকিট (ticket) বিক্রি করা কেন? এটাই সমস্যা। বিশেষভাবে, আদালত রেলওয়ে আইন, ১৯৮৯-এর ৫৭ নম্বর ধারার প্রসঙ্গ তোলে, যেখানে বলা হয়েছে প্রশাসনকে অবশ্যই একটি কম্পার্টমেন্টে বহনযোগ্য যাত্রীদের সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে।
রেলকে নিজেদের নিয়ম কার্যকর করা নিয়ে কড়া বার্তা দেয় আদালত। রেলের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা জানতে রিপোর্ট তলব করা হয়। সেই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, যদি এই সহজ নীতি যথাযথভাবে কার্যকর করা হয়, তাহলে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হত। যাত্রীচাপ বাড়ার সময়, বিশেষ পরিস্থিতির ভিত্তিতে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু প্রতিটি কোচের যাত্রীসংখ্যার সীমা নির্ধারণ করা আছে — তবুও সেটা মানা দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হয়ে আসছে।
–
–
–
–
–
–