শেহজাদির ফাঁসি কার্যকর হয়নি, রিভিউ পিটিশন বিবেচনাধীন: ভারতীয় দূতাবাসকে জানাল UAE

0
3

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি। আবুধাবিতে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় মহিলার রিভিউ পিটিশন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারতীয় দূতাবাসকে জানাল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ‘দোষী’ উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা শেহজাদির রিভিউ পিটিশন বর্তমানে বিবেচনাধীন রয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের মুলগি গ্রামে শাহজাদির জীবন ছোট থেকে যন্ত্রণায় ঘেরা। রান্নাঘরে কাজ করতে গিয়ে মুখ ও শরীরের বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে যায় ছোটবেলায়। সে নিয়েই চলছিলেন। ২০২০-র কোভিডের সময় সোশাল মিডিয়ায় আগ্রার এক যুবকের সঙ্গে শাহজাদির আলাপ হয়। সম্পর্ক গড়ায় প্রণয়ে। উজের নামে ওই যুবক তাঁকে বিয়ে করে চিকিৎসা করানোর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেন। সুখের সংসারের আশায় বাড়ি ছাড়েন শাহজাদি। কিন্তু তারপরেই ছন্দপতন।

অভিযোগ, ২০২১ সালে আগ্রায় নিয়ে গিয়ে শাহজাদিকে নিজের আত্মীয় ফৈজ ও নাদিয়ার কাছে বিক্রি করে দেন উজের। এরপর ওই দম্পতিই তাঁকে নিয়ে আবু ধাবি যান। সেখানেই তাঁদের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন শাহজাদি।

সেখানে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছিল ৩৩-এর শাহজাদির জন্য। হঠাৎই মৃত্যু হয় ফৈজ ও নাদিয়ার চার মাসের শিশুর। তার দায় গিয়ে পড়ে শাহজাদির উপর। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে আবু ধাবির পুলিশ শাহজাদিকে গ্রেফতার করে। আবু ধাবির আদালতে শাহজাদি দাবি করেন, চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। যদিও আদালত তা মানেনি। ফাঁসির সাজা দেয়। সেই থেকে ওয়াথবা জেলে বন্দি শাহজাদি।

সূত্রের খবর, ফাঁসির নির্দেশ কার্যকর হওয়ার আগে জেল কর্তৃপক্ষ শাহজাদির শেষ ইচ্ছা জানতে চায়। তখনই পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি। রবিবারই বাড়িতে ফোন করে শাহজাদি কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানতে পারেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মেয়েকে ফাঁসি দেওয়া হবে। মেয়েকে বাঁচাতে সরকারের দ্বারস্থ হয় পরিবার। শাহজাদির বাবা শাবির খান কেন্দ্রীয় সরকার ও রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানান।

এরপরেই ভারতীয় দূতাবাসের তরফে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, শেহজাদির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে এমন তথ্য সঠিক নয়। তাঁর মামলায় একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে এবং বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন- মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিকেও মোবাইল নিয়ে কড়াকড়ি! বাতিল হতে পারে পরীক্ষাও

_

 

_

 

_

 

_

 

_