একের ঘাড়ে দুই, তার উপরে আরও! দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টে মৃত বেড়ে ১৮

0
1

মহাকুম্ভের জন্য রেলের বিপুল ব্যবস্থাপনা যে কতটা ঢক্কা নিনাদ ছিল এবার তা কার্যত স্বীকার করে নিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। নতুন দিল্লি স্টেশনে (New Delhi) পদপিষ্টের (stampede) ঘটনায় শেষপর্যন্ত উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিলেন রেলমন্ত্রী। যদিও যে চরম অব্যবস্থার জন্য মৃত্যু হল ১৮ জন মানুষের তা আদৌ রেলের গাফিলতি নয় বলে দাবি নর্দার্ন রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের (CPRO)। সেখানেই স্বজন হারানো পরিবারগুলির প্রশ্ন, এত ঢাক পিটিয়ে প্রয়াগরাজে মানুষকে ডেকে এনে তাঁদের জীবন-পরিজনের দায়িত্ব কার ছিল।

শনিবার রাতের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে একাধিক যাত্রী, এমনকি স্টেশনের (New Delhi) কুলিরা পর্যন্ত দাবি করেছেন ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ট্রেন আচমকা ১৬ নম্বরে ঘোষণা হওয়াতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় ফুটব্রিজে (footbridge)। নিহতদের পরিজনদের কথায় প্ল্যাটফর্ম পৌঁছাতে ফুটব্রিজের সিড়িতে একজনের পিঠের উপর দিয়ে আরেকজন যাওয়ার চেষ্টা করে। তাকে দেখে পিছনের যাত্রীরা তার ঘাড়ের উপর দিয়ে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে (platform) সময় মতো পৌঁছানোর চেষ্টা করতে থাকেন।

স্বাভাবিকভাবেই সামনে থাকা পরিবারগুলি সবার আগে পড়ে যায়। পদপিষ্টের (stampede) শিকার মানুষের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলা ও শিশু। কুলিদের (porter) দাবি, প্ল্যাটফর্ম থেকেই তাঁরা অন্তত ১৫টি মৃতদেহ অ্যাম্বুল্যান্সে তুলেছেন। এপর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৮, যার মধ্যে ১২ জন মহিলা ও ৫ জন নাবালক।

দিল্লি স্টেশনের পদপিষ্টের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি (President of India) থেকে প্রধানমন্ত্রী। রেলের তরফ থেকে মৃতদের পরিবার প্রতি ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ২.৫ লক্ষ ও সামান্য আহতদের ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়ম মতো ক্ষতিপূরণের (compensation) ঘোষণা করেছে। তবে সেখানেই হয়রানির শেষ হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। বাংলার পুণ্যার্থী যারা মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়েছেন, তাঁদের মৃত্যু সংশাপত্র পর্যন্ত দেয়নি ডবল ইঞ্জিন সরকার।