মহারাষ্ট্র থেকে মহাকুম্ভে (Mahakumbh) পুণ্য অর্জন করতে এসেছিল একটি পরিবার। মহারাষ্ট্রের আহমদনগর থেকে প্রায় হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে প্রয়াগরাজ (Prayagraj) পৌঁছাতেই পকেট থেকে চলে গিয়েছে চার হাজার টাকার বেশি। সামান্য কৃষক পরিবার এই দুরবস্থার পরে বাধ্য হয়েছে মহাকুম্ভের ঘাটের ধারে ভিক্ষা করতে। কেন্দ্রের সরকার ও ডবল ইঞ্জিন যোগী সরকার গাল ভরা বিজ্ঞাপণ দিয়ে গোটা দেশ থেকে মানুষকে প্রয়াগরাজে আহ্বান জানালেও ট্রেনের ভাড়া (rail fare) সাধারণ মানুষের এতটাই নাগালের বাইরে, যে তার জন্য ভিক্ষাবৃত্তিতেও ভরসা করতে হচ্ছে পুণ্যার্থীদের।
পেশায় আখচাষী (sugarcane farmer) আহমদনগরের ওই পরিবার প্রায় চার হাজার টাকা খরচ করে প্রয়াগরাজে পৌঁছায় মহাকুম্ভে পুণ্য অর্জনের জন্য। কিন্তু তাঁদের যা সম্বল ছিল মহাকুম্ভ (Mahakumbh) আসার পথেই তা খরচ হয়ে যাওয়ায় সঙ্গের বেশ কয়েকটি শিশু নিয়ে সমস্যায় পড়েন তাঁরা। তখনই স্থির করেন মহাকুম্ভের প্রান্তরে ভিক্ষা করার।
প্রতিদিন পরিবারের ৮-১০ জন সেখানে বসে ভিক্ষা (begging) করছেন গত দুদিন ধরে। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পুণ্যার্থীর ভিড় যখন বেশি থাকে সেই সময়ে বেশ কিছু রোজগারও হয়েছে। কারো পাত্রে ২০ টাকা তো কারো ১০০। এভাবেই দুদিনে প্রায় দুহাজার টাকা রোজগার করেছে পরিবার। তাই দিয়েই পরিবারের শিশুদের মুখে তুলে দিয়েছেন খাবার। আবার অনেক পুণ্যার্থী স্নেহের বসে ভিক্ষাপাত্রে কিছু খাবারও দিয়ে যান।
মহাকুম্ভে (Mahakumbh) পুণ্য অর্জন করতে চেয়েছিল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) কৃষক পরিবার। কিন্তু যাতায়াতের বিপুল খরচ আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে প্রয়াগরাজ পৌঁছাতেই শেষ সম্বল। ফলে পুণ্য অর্জন হলেও ঘরে ফিরতে পারছে না পরিবারটি। যত দ্রুত ভিক্ষা সংগ্রহ করে ফেরার পুঁজি জমাতে পারবেন, তত দ্রুত ঘরে ফিরতে পারবেন পরিজন-সন্তানদের নিয়ে।
–
–
–
–
–
–
–