পরিবারের অজান্তে দেহ লোপাটের চেষ্টা! বারাণসীর হস্টেলে উদ্ধার বিহারের ছাত্রীর দেহ

0
2

হস্টেলে মিলল ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। তড়িঘড়ি দেহ সৎকারের চেষ্টা ডবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) বারাণসীতে (Varanasi)। বিহারের ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে প্রশ্নের মুখে যোগী সরকার। পরিবারের অভিযোগ প্রথমেই ঘটনাটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তবে পরিবারের জোরালো দাবির পরে অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তে বাধ্য হয় যোগীর পুলিশ। বিহারের ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বিহারের বিজেপি-সহযোগী নেতারা এবার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতেও সরব।

বিহারের সাসারামের (Sasaram) বাসিন্দা ওই ছাত্রী নিট (NEET) পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বারাণসীর একটি মহিলা হস্টেলে থাকতেন। সোমবার রাতে ১৭ বছরের পড়ুয়ার সঙ্গে বাড়িতে ফোনে কথা হয় মায়ের। এমনকি ভিডিও কলে (video call) নিজের খাবারও দেখায় ওই ছাত্রী। এরপরই সকালে বিহারের (Bihar) বাড়িতে খবর পৌঁছায়, তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশ মৃত্যুর খবরও তাঁদের জানায়নি বলে দাবি পরিবারের। স্থানীয় এক পরিচিতের থেকে খবর পেয়ে তাঁরা ছুটে আসেন। সুস্থ, স্বাভাবিক মেয়ে, যাকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন বাবা-মা, সেই মেয়ের আচমকা এই পরিণতিতে প্রথমে খানিকটা দিশাহারা হয়ে পড়ে পরিবার। পরে তাঁরা বারাণসী (Varanasi) পৌঁছান ও দাবি করেন তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। চাপে পড়ে খুনের অভিযোগ নিতে বাধ্য হয় বারাণসী পুলিশ (Varanasi police)। পরিবারের অভিযোগ দ্রুত ময়নাতদন্ত (post mortem) শেষ করে দেহ সৎকারের জন্যও চাপ দেয় পুলিশ, অভিযোগ পরিবারের।

এরপরই এই ঘটনায় বিহারের সাসারামে (Sasaram) মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। মোমবাতি মিছিল করে তদন্ত দাবি করা হয়। সেই সঙ্গে সাংসদ উপেন্দ্র কুশওয়াহা (Upendra Kushwaha) যোগী প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত ও সরাসরি যোগী আদিত্যনাথের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।