সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল দুজনের (Gas Tragedy in Septic tank Cleaning)। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আরও এক। নন্দীগ্রামের (Nandigram) ভেকুটিয়ার এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এলাকার বাসিন্দা কানাই জানার বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে কাজে নামেন বাড়ির মালিক-সহ দুই শ্রমিক মানস গিরি ও মৃত্যুঞ্জয় জানা (Manas Giri & Mrityunjay Jana)। সাহায্য করছিলেন আরও একজন। কাজ চলাকালীন আচমকা বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে গুরুতর অসুস্থ বোধ করতে থাকেন তাঁরা। উদ্ধার করার আগেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় দুজনেরই। জানা গেছে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কানাই জানা এবং আরেক সহকারী ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ফিরেছে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্সের স্মৃতি। নন্দীগ্রামের এই ঘটনায় ম্যানহোল ক্লিনিংয়ের গাইডলাইন মানা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন কলকাতার লেদার কমপ্লেক্সে মুর্শিদাবাদ জেলার তিন শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট জানিয়েছিলেন কারোর গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। ম্যানহোলকাণ্ডে লেবার কন্ট্রাক্টর ও সুপারভাইজারকে গ্রেফতারও করা হয়। মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন ট্যানারি থেকে রাসায়নিক মিশ্রিত ও দূষিত এই জল নির্দিষ্ট নর্দমার মধ্যে দিয়ে একটি ট্রিটমেন্ট প্লান্টে পৌঁছনোর কথা। কিন্তু তা করতে গেলে কর দিতে হবে ট্যানারি সংস্থাগুলিকে। অভিযোগ সেই কর ফাঁকি দেওয়ার জন্যই নিয়ম বহির্ভূতভাবে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার চক্করে বাড়ছে দুর্ঘটনা।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–