রাজস্থানের কোটায় (Kota) সার কারখানার গ্যাস লিক (gas leak) মনে করিয়ে দিল মধ্যপ্রদেশের ভোপাল-গ্যাস দুর্ঘটনাকে (Bhopal Gas Tragedy)। কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার আগেই স্থানীয় স্কুলের প্রায় ২৫ পড়ুয়া সেই গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয়টি মেডিক্যাল টিম গঠন করে স্থানীয় গ্রামবাসীদের শারীরিক পরীক্ষা শুরু করা হয়।
কোটা (Kota) জেলার সুলতানপুর গ্রাম লাগোয়া চম্বল ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যালস লিমিটেড-এর (CFCL) কারখানায় শনিবার গ্যাস বেরোনো (gas leak) শুরু হয়, যা কারখানা কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয় কোটা-বরং হাইওয়ের ধারে গাড়েপন গ্রামীণ স্কুলের পড়ুয়ারা সেই সময় কুয়ো থেকে জল নিতে কারখানার পাশের জমিতে গিয়েছিল। তারা অসুস্থ বোধ করায় দ্রুত স্কুলে ফিরে আসে।
তাদের মধ্যে অনেক পড়ুয়া প্রবল ঘুম (nausea) ও শ্বাসকষ্ট (breathing trouble) অনুভব করে। বেশ কিছু পড়ুয়া সেখানেই অজ্ঞান (senseless) হয়ে যায়। তখনই স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। অসুস্থদের দ্রুত হাসপাতালে প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়। যদিও এক ঘণ্টার মধ্যে আরও বেড়ে যায় অসুস্থ পড়ুয়ার সংখ্যা। তখনই সার কারখানা (fertilizer factory) থেকে গ্যাস লিকের (gas leak) বিষয়টি নজরে আসে। স্কুল থেকে অসুস্থ হওয়া ২৫ পড়ুয়াকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কোটা জেলাশাসক (district magistrate) রবীন্দ্র গোস্বামী, পুলিশ সুপার (police super) ঘটনাস্থলে আসেন। জানা যায়, রুটিন পরীক্ষা চালানোর সময় গ্যাস লিক হয় কোনওভাবে। এরপরই জেলা শাসক স্কুলের সব পড়ুয়া ও সুলতানপুরের গ্রামবাসীদের শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনার তদন্তের আশ্বাসও দেন।
–
–
–
–
–
–
–