Valentine’s Day: বিভাজনের উর্ধ্বে ভালবাসার দিন পুনর্দখলের দাবি কলকাতায়

0
1

প্রেম হোক সবার। সেখানে কেন জাতি- ভাষা- ধর্ম- লিঙ্গ বাধা হয়ে দাঁড়াবে? কেনই বা নারী পুরুষের প্রেমকেই স্বীকৃত নিয়ম বলে ধরে নিতে হবে? দুই মন নিজেদের মতো করে কি ভালবাসার মানুষকে বেছে নিতে পারে না? কেন বারবার রাষ্ট্র তার বিরোধিতা করবে? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজল ২০২৫-এর ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র (Valentien’s Day) কলকাতা। রাণু-ছায়া মঞ্চ ( অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস -এর সামনে) সাক্ষী রইল ট্রাম্পের ট্রান্স-বিলোপী ফরমানের বিরোধিতায় সমকামী প্রেমের উদযাপনের- সরব হল সব কণ্ঠ, দাবি একটাই Let us reclaim ‘the day of love’।

সব ধরণের ছোট-বড় মৌলবাদী সন্ত্রাসী হিংসা গুঁড়িয়ে সবার প্রেমের সমান অধিকার দখলের কথা শুনল মহানগরী। ‘প্রেম দিবস’ যেমন বড়োলোকের, তেমনই গরীবের। যেমন উঁচুজাতের, তেমনই দলিত ও আদিবাসীর। পৃথিবীতে সবচেয়ে দুর্লভ যা সেই ‘প্রেম’ উদযাপনের দিন আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। কপোত-কপোতী ভরা রাজপথ দেখে বসন্তে ফাগুন রঙে আগুন হয়ে উঠুন না কেন তিলোত্তমা আসলে দিনের শেষে ‘প্রেম’ আজও যেন প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধি। এদিন রাণু-ছায়া মঞ্চ থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপস্থাপনার মধ্যে দিয়ে যেন সেই বার্তাই আরও বেশি করে উচ্চারিত হল। সমানাধিকারের দিক থেকে দেখলে যে যত নির্যাতিত, তার দাবী তত বেশী। যাকে বেশী পেছিয়ে রাখা হয়েছে বা প্রান্তে ঠেলে দেওয়া হয়েছে তার কথা আগে বলতে দিতে হবে, তাকে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। তাই নির্দিষ্ট জাতি বা সংস্থার বা বিশেষ কিছু মানসিকতার মধ্যে না আটকে থেকে প্রেমকে সর্বজনের করে তোলার কথাই বলা হল আজ। যেখানে সমকামী বা রূপান্তরকামীদের প্রেমও সাধারণ মানুষের থেকে যে আলাদা নয় সেই কথাই জানিয়ে দিয়ে প্রেমের প্রকৃত মুক্তির কথা বলল এবারের ভি -ডে। ভালবাসার আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল গানের কলি- ‘দেহ মনের সুদুর পারে/হারিয়ে ফেলি আপনারে/গানের সুরে আমার মুক্তি উর্দ্ধে ভাসে…’