আট বছর পর সুবিচার পেল নির্যাতিতার পরিবার। বজবজ ডাকাতি-গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আলিপুরের সেকেন্ড ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক। প্রসঙ্গত এই মামলায় জড়িত ছিল চারজন। একজনের আগেই মৃত্যু হওয়ার কারনে তিনজনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত।
বছর আটেক আগের ঘটনা। ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি বজবজের বিশুখারা গ্রামের এক বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে ঢোকে একদল দুষ্কৃতী। অভিযোগ ওঠে, দুষ্কৃতীরা প্রথমে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নগদ এবং সোনার গয়না লুট করে। পরে স্বামী ও ৬ বছরের শিশুর সামনেই গৃহকর্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় বজবজ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের সহযোগিতায় নোদাখালির বাসিন্দা তিন যুবককে আটক করে পুলিশ। তাদের থেকে ডাকাতির বেশ কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার হয়। তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফলতার বাসিন্দা আরও দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের থেকেও উদ্ধার হয় নগদ টাকা, মোবাইল ফোন এবং গয়না। নির্যাতিতা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেন। বিচারপর্ব চলাকালীন মৃত্যু হয় বছর চল্লিশের অভিযুক্ত ইমাম শেখের। বিচারপর্ব শেষে আলিপুর সেকেন্ড ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক অয়ন মজুমদার এক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেন। শেখ রমজান, আবদুল হামিদ মোল্লা, ধানু শেখকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। তাদের যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দিলেন বিচারক।
আরও পড়ুন- বাংলার পরে দিল্লি! ভুয়ো ভোটার নিয়ে মমতার সুরেই আক্রমণ অভিষেকের
_
_
_
_
_
_
_
_
_