দত্তপুকুর কাণ্ডে (Duttapukur Murder Case) নয়া মোড়। কাটামুন্ডু কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল মূল অভিযুক্ত আসামি জলিলকে গ্রেফতার করল বারাসাত থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ তল্লাশি চালায়। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে উত্তর ভারতের জম্মু থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তাঁকে সেখানকার আদালতে হাজির করানোর পর হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ট্রানজিট রিমান্ডে জলিলকে জম্মু থেকে বারাসাত নিয়ে আসার প্রস্তুতি শুরু করেছে পুলিশ বলে জানা যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজের(cctv footage) সূত্র ধরেই এই গ্রেফতারি। বুধবারে জম্মুর সাম্বা থেকে তাকে পাকড়াও করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে বারাসতে। অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে হত্যাকাণ্ডের কিনারা করতে তৎপর বারাসত পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম জলিল। দত্তপুকুরে(duttapukur) হজরত লস্করের দেহ উদ্ধারের পর তদন্ত করে আগেই জলিলের স্ত্রী সুফিয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পুলিশের জালে ধরা পড়ে হজরতের প্রাক্তন স্ত্রী পূজা দাস ও তুতো ভাই ওবায়দুল। সুফিয়াকে জেরা করে জলিল সম্পর্কে খোঁজখবরের পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরে দেখা যায়, কলকাতা স্টেশন থেকে দূরপাল্লার একটি ট্রেনে উঠছে জলিল। এরপর খোঁজ করতে করতে দেখা যায়, জলিল জম্মুর সাম্বায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। এরপরই জম্মু যায় তদন্তকারীদের একটি দল। বুধবার জলিলকে গ্রেফতার করে সেখানকার আদালতে পেশ করা হয়। ট্রানজিট রিমান্ডে বারাসতে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে।
জানা গিয়েছ্, ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ফেরার জলিলের খোঁজে বিভিন্ন স্টেশনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। গত ৩ ফেব্রুয়ারি তাকে বামনগাছি থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেনে উঠতে দেখা যায়। সিসিটিভি ফুটেজে শেষ কলকাতা স্টেশনে জলিলের ছবি পাওয়া গিয়েছিল। সেখান থেকেই জম্বু তাওয়াই ট্রেন ধরে জলিল চলে গিয়েছিল জম্বুতে। সিসিটিভি ফুটেজ ধরেই বারাসত থানার পুলিশ অভিযান চালায় এবং জলিলকে জম্মু থেকে গ্রেফতার করে।বুধবার সেখানে তাকে আদালতে তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়ার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় মুন্ডুহীন এক যুবকের দেহ। আশপাশের নমুনা সংগ্রহ করে তার নাম, পরিচয় মেলে। জানা যায়, নিহত লক্ষ্মীকান্তপুরের বাসিন্দা হজরত লস্কর। তার প্রাক্তন স্ত্রী পরবর্তী সময়ে তুতো ভাই ওবায়দুলকে বিয়ে করেন। তারপরও হজরতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। তা জানতে পেরেই হজরতের উপর রাগ গিয়ে পড়ে ওবায়দুলের। তার জেরে খুন বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তবে হজরতের কাটা মুন্ডু এখনও উদ্ধার হয়নি। এই খুনের ঘটনায় আর কারা জড়িত, জলিল ও অন্যান্যদের জেরা করে তা জানতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
–
–
–
–
–
–
–