২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আজ রাজ্য বিধানসভায় পেশ হতে চলেছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Budget 2025)। বিগত বছরগুলিতে যেভাবে বাংলার মানুষের উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার, তাতে এবারের বাজেট ঘিরেও প্রত্যাশার পারদ ঊর্ধ্বমুখী।লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) থেকে বার্ধক্য ভাতা(Old age pension), কৃষকবন্ধু থেকে কন্যাশ্রী- তৃণমূল সরকারের (TMC ) একাধিক সামাজিক প্রকল্পে বাড়বে বরাদ্দ? জল্পনা বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে। বুধবার বিকেল ৪টেয় বিধানসভায় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তার আগে বিকেল ৩-৪৫-এ বিধানসভাতেই হবে মন্ত্রিসভার বৈঠক। রীতিমাফিক এই বৈঠকেই পাশ করানো হবে চলতি অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের জন্য সামাজিক প্রকল্পগুলি একটিও বন্ধ করেননি। বরং উত্তরোত্তর এই প্রকল্পের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপকৃত হচ্ছেন কয়েক কোটি মানুষ। বিশেষ করে বাংলার গ্রামীণ অঞ্চলে খেটে-খাওয়া মানুষের মধ্যে এবং প্রান্তিক মানুষের কাছে এই সামাজিক প্রকল্পগুলির গ্রহণযোগ্যতা ও প্রয়োজনীয়তা প্রশ্নাতীত। এবারের বাজেটেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সামাজিক প্রকল্পে কত বরাদ্দ রাখছেন বা বাড়াচ্ছেন সেদিকেও লক্ষ্য থাকবে সকলের। রাজ্য জুড়ে যে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে সেসব খাতেও নতুন কী বরাদ্দ আসছে, অথবা কোন খাতে বাজেট-বরাদ্দ বাড়ছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ পাওয়া যাবে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়।লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির সঙ্গে সবুজসাথীর সাইকেল, মিড-ডে মিল, বিধবা ভাতা- বার্ধক্য ভাতা, সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ-সহ একাধিক বিষয়ে চোখ থাকবে সকলের। উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জন্য বিশেষ করে চা-বাগান এলাকায় যেভাবে রাজ্য সরকার পাট্টা এবং চা-সুন্দরী প্রকল্পের কাজে ভরিয়ে রেখেছেন সেখানেও নজর থাকবে। রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিনিয়োগের মান বেড়েছে বহুগুণ।এই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের চিন্তাভাবনা বাজেটের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পাবে। অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় বাংলার মানুষ।
–
–
–
–
–
–
–
–
–