গ্রামেই রয়েছে আসল বাংলা, বারবার একথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই নীতিতেই গ্রামোন্নয়নের অঙ্গ হিসাবে গ্রামের মানুষের সামগ্রিক উন্নয়নে জোর রাজ্য বাজেটে। কৃষি ক্ষেত্রে যেমন কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর তৎপরতা দেখানো হয়েছে আগের মতোই, তেমনই চা-শিল্পকে আরও মজবুত করার প্রতিশ্রুতিও রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মসংস্থানে জোর দিয়ে কৃষি উৎপাদিত দ্রব্যের বিপণনের জন্য নজর দেওয়া হচ্ছে সুফল বাংলা (Sufal Bangla) স্টলগুলিতে।
বাজেটে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে (P&RD) কত বরাদ্দ হচ্ছে তাতে নজর ছিল গোটা রাজ্যের। সেখানেই রেকর্ড পরিমাণ বরাদ্দের ঘোষণা অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের (Chandrima Bhattacharya)। এবারের বাজেটে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্য সরকার (State Budget 2205) বরাদ্দ করল ৪৪ হাজার কোটি।
কেন্দ্রের বরাদ্দ বঞ্চনাকে উপেক্ষা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জন্য কর্মশ্রী (Karmasree) প্রকল্প চালু করেছেন। কেন্দ্রের মনরেগা (MGNREGA)-বঞ্চনার সপাটে জবাব যে প্রকল্প, গ্রামবাংলায় সেখানেই ৬১ কোটি শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে বলে জানানো হয় বাজেটে।
গ্রাম বাংলার উন্নয়ন অনেকাংশে নির্ভর করে কৃষকদের উন্নয়নের উপর, যেহেতু বাংলা কৃষিপ্রধান রাজ্য। কৃষির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধানচাষ, তাই ধানচাষীদের প্রতি বিশেষ নজর বাংলার সরকার বরাবরই দিয়ে এসেছে। সহায়ক মূল্যে ধান কিনে রাজ্যের ধানচাষীদের পাশে বাংলার সরকার যেভাবে দাঁড়ায়, তেমন দেশের আর কোথাও নেই। সেই ধান কেনার পরে তা সংরক্ষণের জন্য ২০২৫ রাজ্য বাজেটে প্রোকিওরমেন্টে সেন্টারে (procurement centre) বরাদ্দ বাড়ালো রাজ্য। এবারের বাজেটে এই কেন্দ্রগুলি বানাতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। ফলে আশা করা হচ্ছে আরও বেশি পরিমাণ ধান কৃষকদের থেকে কিনতে পারবেন রাজ্য সরকার।
শুধুমাত্র ধানচাষী নয়, মুখ্যমন্ত্রীর নজরে চা বাগানের কর্মীরাও। চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের জমির পাট্টার দিয়ে তাঁদের নতুন দিশা দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত আর্থিক বাজেটে চা শ্রমিকদের (tea labours) কর ছাড়ের পথে হেঁটেছিল রাজ্য সরকার। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। চা শ্রমিকদের আয়কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হল। অর্থাৎ এবছরও আয়কর দিতে হবে না তাঁদের।
গ্রামীণ বাংলার সামগ্রিক উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষি বিপণন থেকেও যাতে উপকৃত হতে পারেন কৃষকরা, তার জন্য বরাদ্দ রাখা হল রাজ্য বাজেটে। সেক্ষেত্রে কৃষকদের উৎপাদিত দ্রব্য সরাসরি বিক্রির পথ আরও বেশি খুলে দিতে বাড়ানো হচ্ছে সুফল বাংলার স্টল। আরও ৩৫০ সুফল বাংলা (Sufal Bangla) স্টল তৈরির জন্য রাজ্য বাজেটে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করা হয়।
–
–
–
–
–