মোদি-ট্রাম্প বৈঠক টেবিলে বাংলাদেশ ইস্যু: শুল্কই মূল আলোচ্য

0
3

দেশের ক্রমাগত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মধ্যেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) ভারতের বিরুদ্ধে শুল্ক (tariff) নিয়ে অভিযোগ ভারতের বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আবার সম্প্রতি ট্রাম্পের বাজেট ঘোষণায় খানিকটা চাঙ্গা ভারতের বাজার। ফলে মোদির (Narendra Modi) আমেরিকা সফরের আগে দুদেশের অর্থনৈতিক ইস্যুগুলি গুরুত্বপূর্ণ যে হতে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এই টেবিলে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বাংলাদেশ ইস্যুও। ইতিমধ্যেই আমেরিকা যেভাবে বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেছে, তাতে মোদি-ট্রাম্প বৈঠকের পরে বাংলাদেশ নিয়ে নতুন ঘোষণার পথেও যেতে পারে আমেরিকা। বুধবার ফ্রান্সে (France) এআই অ্যাকশন সামিট (AI Action Summit) শেষে আমেরিকা রওনা দেবেন হোয়াইট হাউসে বৈঠকের জন্য।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মহম্মদ ইউনূস (Mohammed Yunus) সরকারের প্রতি খুব একটা ভালো বার্তা দেননি ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রপতি। আবার চিনের (China) সঙ্গে যুক্ত হয়ে অস্ত্র ব্যবসা নিয়েও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ধর্মীয় মৌলবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তদারকি সরকারের প্রশাসক ইউনূসের প্রতিও কোনও সদর্থক বার্তা দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। সেই সঙ্গে গোটা বিশ্বে ইউএসএইড (USAID) বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের অনুদান বন্ধ করে বার্তা দিয়েছেন মুখ্য প্রশাসক ইউনূসকেও।

ভারতের সঙ্গে সম্প্রতি সম্পর্ক আরও তিক্ত করার পথে বাংলাদেশ। একদিকে সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ (infiltration) নিয়ে কোনওভাবে ইতিবাচক ভূমিকা নিচ্ছে না বাংলাদেশ প্রশাসন। অন্যদিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ক্রমশ জঙ্গি অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে আমেরিকার জঙ্গি-নীতির সঙ্গে একযোগে বাংলাদেশ নিয়ে কথা হওয়ার সম্ভাবনা মোদি-ট্রাম্পের। ভারতের পক্ষ থেকে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন।

তবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনায় যে আগ্রহী আমেরিকাও, স্পষ্ট করেন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য শ্রী থানেদার (Shri Thanedar)। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই সদস্য জানান, বারবার বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছি কংগ্রেসে। সেই মতো আলোচনা হয়েছে। এমনকি স্বরাষ্ট্র দফতর কিছু ঘোষণাও করেছে। দিও ডেমোক্রাট সদস্যের দাবি, ট্রাম্প-মোদি বৈঠকের মূল বিষয় অবশ্যই হবে শুল্ক।

বুধবার ফ্রান্সে রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাঁক্রোর (Emmanuel Macron) সঙ্গে যৌথ-বৈঠক, চুক্তি স্বাক্ষরের পরেই আমেরিকা রওনা দেবেন মোদি। যদিও তার আগে মুম্বই পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে প্রধানমন্ত্রীর বিমানে বোমাতঙ্কের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে। ফ্রান্স রওনা দেওয়ার আগে এই হুমকির সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রীর গোটা বিমানে তল্লাশি চালানো হয়। এমনকি অন্য সব সফরে যেভাবে হাত নাড়তে নাড়তে বিমানে চড়েন প্রধানমন্ত্রী, এই সফেরর আগে সেরকম দেখা যায়নি। দুদিনের মধ্যে অভিযুক্ত হুমকি দেওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ।