গ্রামীণ উন্নয়নে বিশেষ নজর, বুধে জনকল্যাণমুখী বাজেটে রেকর্ড বরাদ্দ বৃদ্ধির সম্ভাবনা

0
1

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট (state budget) পেশ হবে বুধবার। সেই বাজেটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকারের কাছে বাড়তি গুরুত্ব পেতে চলছে গ্রামোন্নয়ন। এবার গ্রামোন্নয়ন (rural development) খাতে বরাদ্দ বাড়তে পারে বলে আভাস মিলেছে। বুধবার রাজ্যের স্বাধীন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) বাজেট পেশ করবেন। সেই বাজেটে গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত দফতরের (panchayat department) জন্য রেকর্ড পরিমাণ বরাদ্দ হবে। ৩৫ হাজার কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।

বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গোহারা হওয়ার পর একশো দিনের কাজের প্রাপ্য বকেয়া মেটায়নি। রাজ্য সেই বকেয়া মিটিয়েছে একশো দিনের শ্রমিকদের। তাঁদের অন্নের সংস্থান করতে ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্প চালু করে উপার্জনের বিকল্প বন্দোবস্ত করে দিয়েছে। চব্বিশের লোকসভা ভোটে গ্রামীণ বাংলাই কেন্দ্রের বঞ্চনার জবাব দিয়েছে বিজেপিকে। এবার ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগেও বাজেটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পাখির চোখ গ্রামোন্নয়ন (rural development)। জনকল্যাণেই তিনি বাজেট করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বরাবর মানুষকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। মানুষের জন্য তাঁর সরকার মানুষের কাজ করে যাবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই তিনি চলেন। তেমনই নির্দেশ দিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রীকে। সামাজিক সুরক্ষা থেকে শুরু করে শিক্ষা, যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের মতো বিষয়গুলিতে সমান গুরুত্ব রেখেই গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির লক্ষ্য রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের সরকারের। সেই লক্ষ্যে এবার গ্রামোন্নয়নে ১৩ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকতে চলেছে বাজেটে। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই বৃদ্ধি ছিল প্রায় ৬ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয় ১১.২৭ শতাংশ। এবার আরও বাড়ছে।

কেন্দ্র শুধু বঞ্চনা করে গিয়েছে। আবাস প্রকল্পের টাকাও দেয়নি। বাংলার তৃণমূল সরকার নিজস্ব কোষাগার থেকে ২৮ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া শুরু করেছে। প্রথম পর্যায় ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে এপ্রিল-মে মাসে। বাকি ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে দু’ভাগে টাকা দেওয়া হবে বাংলার বাড়ির। এছাড়া পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রামীণ উন্নয়নে জোর দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাকার। নগরোন্নয়ন ও পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে বৃদ্ধি হবে বরাদ্দ। আয় বাড়াতেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে বাজেটে।