নদিয়ার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির (MAKAUT) হোস্টেলের পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় বাড়ছে বিক্ষোভ। সোমবার রাতে এম টেক-এর প্রথম বর্ষের পড়ুয়া সায়নীর মৃত্যুর খবর আসতেই বিক্ষোভ ফেটে পড়েন বাকি ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকেও চলছে বিক্ষোভ। রেজিস্টারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এদিন ম্যাকাউটের (MAKAUT) প্রধান গেট বন্ধ রাখা হয়েছে এবং পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে আজকের মতো সব পরীক্ষা বাতিল করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ছাত্র-ছাত্রীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষের গাফিলতি জেরে ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হয়। আর সেই কারণেই একটি তরতাজা প্রাণ চলে গেল। এই প্রসঙ্গে উপাচার্য জানিয়েছেন, যখন দুর্ঘটনা ঘটে সেই মুহূর্তে কোনও অ্যাম্বুলেন্স চালক সেখানে ছিলেন না তাই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের দাবি ওই ছাত্রী সোমবার পরীক্ষা চলাকালীন টুকলি করছিলেন আর সেই সময় শিক্ষক তাঁকে বকাবকি করায় চরম সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সায়নী। যদিও মৃতার সহপাঠীদের দাবি পড়ুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ দেওয়াই হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যবস্থার দিকেই আঙ্গুল তুলছেন তাঁরা। সবমিলিয়ে এখনও উত্তেজনা রয়েছে হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজিতে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–