দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ, বিরোধীদের চাপে বিধানসভা অধিবেশনের আগেই পদত্যাগ মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর 

0
3

জাতিদাঙ্গায় অশান্ত মনিপুরের (Manipur) পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ বিজেপি সরকার (BJP)। সোমবার থেকে বিধানসভা অধিবেশনে (Manipur Assembly Session) সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কায়, অবশেষে সংঘর্ষের ৬৪৯ দিন পর পদত্যাগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (N Biren Singh)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে আলোচনার পর রবিবার তাঁর আচমকা পদত্যাগে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। তাহলে কি দলীয় বিধায়কের আস্থা হারানোর জেরে এই সিদ্ধান্ত, নাকি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের রাজনৈতিক সমীকরণের কারণে সরে যেতে হল বীরেনকে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

২০২৩-এর ৩ মে থেকে কুকি আর মেতেই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল হয় উত্তর-পূর্বের রাজ্য। মহিলাদের বিবস্ত্র করে নগ্ন অবস্থায় রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো নক্কারজনক ঘটনা ঘটলেও বিজেপির তরফ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখ থেকে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যের এই নারী হেনস্থা নিয়ে একটা শব্দ খরচ করতে শোনা যায়নি। তবে মনিপুরের রাজনৈতিক মহলের অন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছিল বিধায়কদের।দলীয় বিধায়কদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন বীরেন। বিশেষ করে তার স্বজাতি মেতেই বিধায়করা পর্যন্ত মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ৬০ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ৩১ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। সেখানে বীরেনের পাশে বর্তমানে আছেন মাত্র ১৫ জন বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে আবার জেডিইউ এবং নির্দল বিধায়কেরাও আছেন। তাহলে বিধানসভা অধিবেশন শুরু হতেই বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়ার আশঙ্কা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারার ভয়ে এই সিদ্ধান্ত? পরিস্থিতি টালমাটাল বোঝা মাত্রই বিরোধীদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে বীরেনকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয় বলে খবর। অবশেষে রবিবার রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।