কলকাতা-সহ শহরতলিতে গত কয়েক বছরে লাফিয়ে বেড়েছে বাস দুর্ঘটনার সংখ্যা। লালবাজারের তথ্য বলছে, কলকাতায় ২০২২ ও ২৩-এ বেসরকারি বাস (private bus) দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ২১ ও ২৪। সেখানে ২৪ সালে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭ জন। বাসের অনিয়ন্ত্রিত গতি রুখতে এ বার মোবাইল অ্যাপ (mobile app) আনতে চলেছে পরিবহণ দফতর। কী ভাবে কাজ করবে সেই অ্যাপ?
রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehasish Chakraborty) জানান, প্রত্যেক বাস চালকের মোবাইলে সেই অ্যাপ (app) চালু রাখাটা বাধ্যতামূলক করা হবে। সকাল থেকে তাদের ট্র্যাকিং (tracking) করবে ট্র্যাফিক পুলিশ। কী গতিতে গাড়ি চালাচ্ছে, বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছে কি না, সে সব কিছুই ট্র্যাক করা যাবে ওই অ্যাপের মাধ্যমে। মন্ত্রী বলেন, ‘বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালালে তাকে শোকজ করা হবে। নির্দিষ্ট সময় পর চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’ গণ পরিবহণ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে এই অ্যাপ বলেই জানান তিনি।
সোমবার পরিবহন মন্ত্রী, সচিব, ডিজি (DG), এডিজি ট্র্যাফিক, কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মোট ১২টি রুটে বেপরোয়া বাসের বাড়বাড়ন্তে রাশ টানতে অ্যাপ (App) আনা হবে। যার মধ্যে হাওড়া, বিধাননগর ও কলকাতা রুটও রয়েছে।
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, বাস রাশ ড্রাইভিং (rash driving) করছে কি না তা চিহ্নিত করবে। পাশাপাশি বাস স্ট্যান্ডে ডিসপ্লে হবে কোন বাস কবে, কোথায় যাবে। এই অ্যাপ তৈরি করছে কলকাতা পুরসভার আইটি বিভাগ। বাসস্ট্যান্ড সৌন্দর্যায়ন করার কাজ করবে কলকাতা পুরসভা।
পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehasish Chakraborty) জানান, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফে কর্মসূচির জন্য অনেক দুর্ঘটনা কমেছে। এযাবৎ দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা একটা অ্যাপ তৈরি করব। এতে চালকদের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
মন্ত্রীর কথায়, চালক এই নিয়ম না মানলে দু’তিন বার সতর্ক করার পর লাইসেন্স বাতিল করবে পরিবহণ দফতর। তিনি এও জানান, এই সবই পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু করা হবে। এই অ্যাপে স্পষ্ট সাজানো থাকবে কত নম্বরের বাস কোথায় আছে, কখন আসবে ইত্যাদি।
–
–
–
–
–