নারকেলডাঙায় অগ্নিকাণ্ডের পরে অশান্তির আঁচ! কাউন্সিলর সাহায্যের সত্ত্বেও বিক্ষোভে নিন্দা তৃণমূলের

0
3

নারকেলডাঙার বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের পরে ঘটনাস্থলে যাওয়া মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও কাউন্সিলর সচিন সিংকে (Sachin Singh) ঘিরে বিক্ষোভের ঘটনার নিন্দা করছেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর কথায়, আগুন লাগার পরই স্থানীয় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন এলাকার কাউন্সিলর ও তৃণমূল (TMC)। সেখানে মেয়র যাওয়ার পর থেকে গোলমালের চেষ্টা শুধু মাত্র সংবাদ মাধ্যমে আকর্ষিত করতে। দল বিষয়টির উপর নজর রাখছে। এদিকে রবিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক দল।

শনিবার মধ্যরাতে নারকেলডাঙার খালপাড় লাগোয়া বস্তিতে আগুন লাগে। কোনওমতে প্রাণ হাতে করে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরে বিভিন্ন ধরনের দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন। অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় নারকেল লাগার বস্তিতে আগুন লাগার পর দমকলকে আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর। আচমকা ঘুমের মধ্যে আগুন লেগে যাওয়ায় ঘর থেকে বেরোতে না পেরে মৃত্যু হয় হাবিবুল্লা মোল্লা নামে এক প্রৌঢ়ের। সারা রাত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হয় দমকল বাহিনীকে। সকালে নিজেদের শেষ সম্বল খুঁজে নিতে জড়ো হন পুড়ে যাওয়া ঝুপড়ির বাসিন্দারা। ঘটনায় একাধিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়া নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।এদিন সকালেও পকেট ফায়ার নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন দমকল কর্মীরা। বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক দল। তবে, কী থেকে আগুন লাগল তা এখনও জানা যায়নি।

সকালে এলাকায় যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন কাউন্সিলর সচিন (Sachin Singh)। হঠাৎ তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। মেয়র এলাকা ছাড়তেই উত্তেজনা বাড়ে। শেষ পর্যন্ত থানার সামনে গিয়ে বসেন খোদ সচিন। তাঁর অভিযোগ, এলাকার এক সমাজবিরোধী এই অশান্তিতে উস্কানি দিচ্ছে। পরে এলাকার মানুষদের পাশে থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দেন কাউন্সিলর। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা বেআইনি বসতি তৈরির অভিযোগ উড়িয়ে কাউন্সিলর দাবি করেন, তাঁকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। যেখান খোদ কাউন্সিলর উদ্ধার কাজ চালান। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান, সেখানে এই প্ররোচনামূলক অশান্তির নিন্দা করেন কুণাল। তাঁর কথায়, ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরেই বিক্ষোভ মিডিয়াকে আকর্ষণ করার চেষ্টা। যেখানে উদ্ধারের কাজ করছে তৃণমূল, সেখানে এই ধরনের অভিযোগ তুলে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা একেবারই সমর্থন যোগ্য নয়। এখন ত্রাণ ও উদ্ধার কাজই মূল উদ্দেশ্য।