এই নিয়ে চতুর্থবার। কুম্ভমেলার ফের একবার ১৯ নম্বর সেক্টরে আগুন। গত জানুয়ারি মাসে এই ১৯ নম্বর সেক্টরে আগুন ধরে যায় ও তার ফলে প্রচুর তাঁবু পুড়ে যায়। সেই আতঙ্কের রেশ কাটার আগেই আজ, রবিবার দুপুরে ফের আগুন লাগল কুম্ভমেলাতে। এদিনও আগুনে পুড়ে গিয়েছে একটি তাঁবু। তবে হতাহতের খবর নেই। প্রাথমিক ভাবে দমকলের তরফে জানা গিয়েছে, তাঁবুর মধ্যে একটি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক করে আগুন ধরে যায়। আগুনের খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে আতঙ্ক ছড়ায় পুণ্যার্থীদের মধ্যে। কুম্ভমেলার একটি ‘কল্পবাসী’ তাঁবুতে আজ, রবিবার আগুন লাগে। কুম্ভমেলা জুড়েই প্রচুর অস্থায়ী থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটি হল ‘কল্পবাসী টাউনশিপ’। সেখানের অস্থায়ী তাঁবুগুলির মধ্যে একটিতে আগুন ধরে যায়। ওমপ্রকাশ পাণ্ডে সেবা সংস্থানের একটি তাঁবুতে আগুন লাগার খবর পান দমকলকর্মীরা। এরপরেই দমকলের তিনটি ইঞ্জিন পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে।
স্বাভাবিকভাবেই এভাবে পর পর অগ্নিকাণ্ড ও পদপিষ্ঠের ঘটনায় কুম্ভমেলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। গত ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছে কুম্ভমেলা। ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই মেলা চলবে। এরই মধ্যে তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ড এবং বেশ কিছু ছোট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এত বড় একটা আয়োজন আর সেখানে কিভাবে প্রশাসনের এই পরিমান গাফিলতি থাকতে পারে এই নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠছে দেশজুড়ে। গত ১৯ জানুয়ারি কুম্ভমেলার ১৯ নম্বর সেক্টরে সিলিন্ডার ফেটে আগুন ধরেছিল। ১২টির বেশি তাঁবু পুড়ে যায়।
২৫ জানুয়ারি ফের আগুন লাগে কুম্ভের ২ নম্বর সেক্টরে দু’টি গাড়িতে। গত শুক্রবার কুম্ভের ১৮ নম্বর সেক্টরে ইস্কনের তাঁবুতে আগুন লাগে। সেই সময় বেশ কিছু তাঁবুতে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং কমপক্ষে ২০টি তাঁবু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত সোমবার বেলুন বিস্ফোরণ হয়ে ছয় পুণ্যার্থী ঝলসে যান। পর পর এত ঘটনা উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় বড় প্রশ্নচিহ্ন ফেলছে। কুম্ভমেলার আয়োজনের জন্য অনেক দিন ধরেই প্রস্তুতি নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার তারপরেও একের পর এক এরকম ভয়াবহ ঘটনা কী ভাবে ঘটছে ও প্রাণহানি হচ্ছে সেই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রশাসনকে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–





























































































































