ফের একবার অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী শহর। নারকেলডাঙ্গা বস্তিতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই প্রায় ৩০টি ঝুপড়ি। দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন (fire tender) কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার মধ্যরাতে আগুন লাগার পর রবিবার সকালে স্থানীয়দের দাবি পুড়েছে প্রায় ৫০ পরিবারের ঘর। স্থানীয়দের দাবি ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। আগুনের ভয়াবহতা এতই বেশি ছিল যে রবিবার সকালেও পকেট ফায়ার নেভানোর কাজ করতে হয় দমকলকে।
শনিবার মধ্যরাতে যখন নারকেলডাঙ্গার খালপাড় লাগোয়া গোটা বস্তি (slum) যখন ঘুমিয়ে পড়েছিল। সেই সময় হঠাতই আগুন লাগে। কোনওমতে প্রাণ হাতে করে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরে বিভিন্ন ধরনের দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন।
অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় নারকেল লাগার বস্তিতে আগুন লাগার পর দমকলকে আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর। আচমকা ঘুমের মধ্যে আগুন লেগে যাওয়ায় ঘর থেকে বেরোতে না পারলে মৃত্যু হয় হাবিবুল্লা মোল্লা নামে এক প্রৌঢ়ের। কিভাবে আগুন লাগল তার তদন্ত শুরু করেছে দমকল। সেইসঙ্গে এই এলাকায় এত দাহ্য পদার্থইবা এলো কিভাবে, তদন্তে পুলিশ।
গোটা রাত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হয় দমকল বাহিনীকে। সকালে নিজেদের শেষ সম্বল খুঁজে নিতে জড়ো হন পুড়ে যাওয়া ঝুপড়ির বাসিন্দারা। ঘটনায় একাধিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়া নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সকালেও দমকল কর্মীরা পকেট ফায়ার (pocket fire) নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
–
–
–
–
–
–
–