মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ: বিশ্ব বাজারের দিকেই তাকিয়ে RBI, অর্থমন্ত্রী!

0
1

দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় বাজেট কোনও দিশা দেখাতে পারেনি। রেপো রেট কমিয়ে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। তা সত্ত্বেও যে সাধারণ মানুষকে মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থানে স্বস্তি দেওয়া সম্ভব নয়, হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর (RBI Governor)। ফলে বিশ্ব অর্থনীতির দিকেই যে ভারতকে তাকিয়ে থাকতে হবে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে (Nirmala Sitharaman) পাশে বসিয়ে সেই বার্তাই দিলেন আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা (Sanjay Malhotra)।

মোদি সরকারের ভ্রান্ত অর্থনীতির কারণে যে সাধারণ মানুষ থেকে শিল্পক্ষেত্রে নগদ অর্থের (liquid cash) অভাব তৈরি হয়েছে তা কার্যত মেনে নিলেন আরবিআই (RBI) গভর্নর। চলতি অর্থবর্ষে সেই ঘাটতি মেটাতে সঞ্জয় মালহোত্রার প্রতিশ্রুতি, আরবিআই অত্যন্ত দ্রুততা ও কর্মদক্ষতার সঙ্গে আর্থিক ক্ষেত্রগুলিতে নগদ অর্থের যোগান দেবে। ইতিমধ্যেই রেপো রেট (repo rate) কমানোয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ব্যাঙ্ক সহ আর্থিক ক্ষেত্রগুলিতে মানুষের আস্থা ফেরানোর প্রবল চেষ্টা চালাচ্ছে আরবিআই। সেই সঙ্গে টাকার মূল্য নিয়ে নতুন কোনও লক্ষ্য আলাদাভাবে আরবিআই যে তৈরি করেনি, তাও স্পষ্টভাবে বলে দেন মালহোত্রা।

কিন্তু দেশে মুদ্রাস্ফীতি (inflation) কমবে কীভাবে? এদিন তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি অর্থমন্ত্রী থেকে আরবিআই গভর্নর। সঞ্জয় মালহোত্রার (Sanjay Malhotra) দাবি, আগামী দিনে বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থিতাবস্থা আসা উচিত, যার ফলে দেশের মুদ্রাস্ফীতি (inflation) নিয়ন্ত্রণে আসা উচিত।

এদিন আরবিআই গভর্নরের পাশে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। তিনি আলাদাভাবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কোনও বার্তা দিতে পারেননি। তাঁর দাবি, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নের অন্যান্য মাপকাঠিগুলিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও সরকারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সহাবস্থান থাকে।