দিল্লির ক্ষমতা দখলের ‘ত্রিমুখী’ ভোটযুদ্ধে জয়ী কে, উত্তর মিলবে আজই

0
3

রাজধানীর মসনদে (Delhi Assembly Election results) ফিরবেন কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) নাকি দিল্লি দখলে অক্সিজেন পাবে কংগ্রেস নাকি হাসি ফুটবে মোদির (Narendra Modi) মুখে, সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। আজ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা। ৭০ আসনের ম্যাজিক ফিগার ৩৬। বুথফেরত সমীক্ষা যাই বলুক জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী আম আদমি পার্টি (AAP) । অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল মনে করছে গত দু’বারের মতো ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হবে আপ এবং দিল্লি দখলের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে বিজেপির (BJP)। যদিও পদ্ম নেতারা এই ভাবনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। এক্সিট পোলের রিপোর্ট দেখে দিল্লি দখলের ব্যাপারে বেশ খানিকটা নিশ্চিন্ত বোধ করছেন গেরুয়া নেতারা (যদিও লোকসভা ভোটে কোনও বুথ ফেরত সমীক্ষাই মেলেনি)। আর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (INC) লড়াইয়ে রয়ে গেছে কাগজে-কলমে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে আপ বনাম বিজেপির (AAP vs BJP), কংগ্রেসের এই নির্বাচনে কিছুই করার নেই।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly Election) ৭০টি আসনের জন্য মোট ৬৯৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, যেখানে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (AAP), ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতা রয়েছে। প্রায় ১.৫৬ কোটি ভোটার নিজেদের রাজ্য পরিচালনার জন্য কাকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে দেখতে চাইছেন তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। ভোট গণনা শুরু হওয়ার আগে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, নির্বাচন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ভোট গণনার স্বচ্ছতা নিয়ম প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় অভিযোগ করেছেন কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, একাধিকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন (ECI) ভোটারদের তথ্য আপলোড করছে না। দিল্লিতে টানা ৬টি নির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। তাই প্রেস্টিজ বাঁচাতে কারচুপি চলছে বলে আম আদমি পার্টির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের বিধায়করা বলছেন, অন্তত ৫০টি আসনে জিতবে আপ। রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, ভোটের ঠিক আগে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে করছাড়, অষ্টম বেতন কমিশন গঠন থেকে শুরু করে গরিবদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে একাধিক তাস খেলেছে বিজেপি। দিল্লিবাসী ভাঁওতা ধরতে পেরেছেন নাকি ভুল করে বিজেপির পাতা ফাঁদে পা দিয়ে অন্যরকমের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা জানতে আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা। চলছে ভোট গণনা।