বীরভূমের নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রায় ২৬ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। জামিনের পাঁচ মাস পর হঠাৎ করে অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে ইডির নজর কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গরুপাচার মামলার শুনানি চলাকালীন তদন্তকারী সংস্থা অভিযুক্তের অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যার সম্পত্তি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিল। তাঁদের ঘনিষ্ঠদের মোট ৩৬টি অ্যাকাউন্টও এজেন্সি হেফাজতে নিয়েছে বলেও জানা গেছে। ED সূত্রে খবর, বীরভূমের নেতার মালিকানাধীন বিভিন্ন সংস্থার অ্যাকাউন্টসহ মোট ২৫ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও এই নিয়ে অনুব্রতর তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
২০২২ সালের ১১ অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় বীরভূমের নিচু পট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল CBI। এই মামলায় পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ১৮ মাস জেলবন্দি থাকতে হয় অনুব্রতকে। অথচ গরু পাচারের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকেছে, এরকম কোনও নথি ইডি আদালতের সামনে হাজির করতে পারেনি। ফলে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জামিন পান তিনি। পাঁচ মাস কেটে যাওয়ার পর হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতি সক্রিয়তায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আঁচ করছেন অনেকেই। আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ফের ইডি, সিবিআই- এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–