হরিয়ানায় আপ ভোট কেটে কংগ্রেসের হার নিশ্চিত করেছিল। নিশ্চিত হারা ম্যাচ জিতেছিল বিজেপি। এবার দিল্লিতেও তারই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। এক্ষেত্রে ভোট কেটে আপের যাত্রাভঙ্গ করছে কংগ্রেস। দিল্লি বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভোট বৃদ্ধিতে বিজেপির পৌষ মাস আর আপের সর্বনাশ।
একেবারেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। দিল্লি নির্বাচনে বিজেপি বনাম আপের লড়াই ইঁদুর দৌড়ে পর্যবসিত হয়েছে। বিজেপির পক্ষে লড়াই যে খুব সহজ হবে, তা নয়। প্রথমে পিছিয়ে থাকলেও আপ শেষ ল্যাপে দারুন লড়াই দিয়ে চাপে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে। এই লড়াই যে কংগ্রেস এবং এআইএমআইএম-এর ভোট কাটার কারণে, তা কিন্তু সুস্পষ্ট।
একমাত্র কংগ্রেসের ভালো রেজাল্টই বিজেপিকে দিল্লির দরবারে ফিরিয়ে আনতে পারে। প্রাথমিক ট্রেন্ডে আপের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে যায় গেরুয়া শিবির। কিন্তু সময় যত বাড়তে থাকে আপ লড়াইয়ে ফেরে। পিছিয়ে পড়েন কেজরিওয়াল-অতিশীরা। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে এবার ছিল ত্রিশঙ্কু লড়াই। ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে কংগ্রেস এবং আপ সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হয়েছিল। সেই ফায়দা লুটে দিল্লিতে সুবিধাজনক অবস্থানে চলে আসে বিজেপি। হরিয়ানায় কংগ্রেসের ভোট কেটে আপ যেমন বিজেপি সুবিধা করে দিয়েছিল, তেমনি দিল্লিতে আপকে জব্দ করেছে কংগ্রেস। প্রাথমিক ট্রেন্ডে আপের পিছিয়ে পড়া থেকে তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দিল্লির মুসলিমপ্রধান চাঁদনি চকের বাল্লিমারান কেন্দ্রে কংগ্রেসের হারুন ইউসুফের ভোটপ্রাপ্তি আপের বিধায়ক ইমরান হুসেনের জয়ের পথে কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছে। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্র হওয়া সত্ত্বেও বিজেপির কমল বাগরি এগিয়ে রয়েছেন এই কেন্দ্রে।
এছাড়া অনেক কেন্দ্রেই আপ-কংগ্রেসের ভোট ভাগাভাগি বিজেপির (BJP) জয়ের পথ মসৃণ করে দিয়েছে।এআইএমআইএমও কোনও কোনও কেন্দ্রে আপের ভোট কেটেছে। এবারের ভোটের ফল স্পষ্ট করে দিচ্ছে, দিল্লিতে কংগ্রেস ও আপ জোট বাঁধলে বিজেপির প্রত্যাবর্তনের পথ সহজ হত না। বিজেপির হার নিশ্চিত ছিল। সেখানে আবারও হরিয়ানার মতো দিল্লিতে জয়ের সরণিতে গেরুয়া শিবির।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দিল্লিতে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৪৭টি আসনে, আপ এগিয়ে ২৩টি আসনে। কংগ্রেস শূন্য। উল্লেখ্য, ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৩৬। ম্যাজিক ফিগার অর্জন করতে মাত্র ৫-৬টি আসনের হেরফের। যেকোনও মুহূর্তে বদল হতে পারে অবস্থান।
–
–
–
–
–