কল্যাণীর বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলা পুলিশের থেকে রিপোর্ট চাইল নবান্ন

0
1

নদীয়ার কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলা পুলিশের থেকে রিপোর্ট তলব করলো নবান্ন (Nabanna)। কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটলো, কতজন মারা গেছেন, আহতদের শারীরিক অবস্থা কেমন – পুলিশকে এই সংক্রান্ত সব তথ্য জমা দিতে হবে। এখনও পর্যন্ত বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃতদের মধ্যে তিনজন মহিলা এবং একজন পুরুষ বলে দাবি স্থানীয়দের। ঘটনাস্থলে কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ উপস্থিত হলে তাঁদের সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। গেরুয়া নেতাদের “গো-ব্যাক” স্লোগানও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। এলাকার মানুষ বলছেন, বিজেপি বিধায়কদের প্রয়োজনের সময় কাজে পাওয়া যায় না। অথচ দুর্ঘটনার পর রাজনীতি করতে এসেছেন বলে পদ্ম নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

স্থানীয়রা বলছেন, কল্যাণীর রথতলা এলাকায় পরপর বেশ কিছু বাজি কারখানা রয়েছে। ফলে প্রায় প্রতিদিনই আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় এলাকাবাসীকে। এর আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার কারখানায় বিস্ফোরণের রাজ্য সরকারের তরফে একাধিক কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছিল যেন জনবহুল এলাকায় কোনভাবেই বাজি কারখানা তৈরি না হয়। এমনকি এই ধরনের কারখানার তালিকা তৈরি করে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কল্যাণীর রথতলায় কীভাবে বেআইনি বাজি কারখানা গড়ে উঠলো তারই রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য সরকার। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী অনুযায়ী বিস্ফোরণস্থলে উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। এখানে রয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। নিখোঁজ বাজি কারখানায় মালিক।