প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে আর একটু হলেই বাঘের পেটে যেতে বসেছিলেন শালকুমারহাট প্রধান পাড়া হলদিটারি এলাকার এক বাসিন্দা। এদিন সকালে ওই ব্যাক্তি বাড়ির পেছনে শৌচাগারে ঢুকতে গিয়ে খেয়াল করেন সেখানে ঘাপটি মেরে বসে আছে একটি চিতাবাঘ। প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার দিয়ে পরিমড়ি করে দৌড়ে পালিয়ে যান বাড়ি ছেড়ে। তার চিৎকার শুনে জড়ো হন প্রতিবেশীরা। সব শুনে তারাই খবর দেন বন দফতর কে।
বন দফতরের কর্মীরা আসতে আসতে ভিড় জমে যায় ওই ব্যাক্তির বাড়ির চারপাশে। এরপর বন কর্মীরা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলে বাড়িটি। এরপর মানুষের চিৎকার ও বন ককর্মীদের তৎপরতায় বেরিয়ে আসে চিতা বাঘটি। চিতা বাঘটি জাল টপকে এক দৌড়ে পালতে গিয়ে গুঁতো দেয় বন দফতরের এক কর্মীকে। পড়ে গিয়ে হাত ভেঙ্গে যায় ওই কর্মীর। পালিয়ে গিয়ে বাঘটি ফের গ্রামের বাইরের একটি বাঁশ বাগানে আশ্রয় নেয়। এরপর সন্ধ্যা নামার পর বন কর্মীরা চিতাবাঘটিকে সেখান থেকে তাড়ালে সেটি নদীর চর দিয়ে দৌড়ে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করে। ওই জখম বনকর্মীর চিকিৎসা চলছে কোচবিহারের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। চিতাবাঘটি জঙ্গলে ফেরৎ যাওয়ায় সারা দিনের আতঙ্ক শেষ হয় গ্রামবাসীদের।
আরও পড়ুন- পিছনে তাকিয়ে শুধুই কংগ্রেস সমালোচনা! রাজ্যসভায় মোদির ভাষণে নেই নতুন দিশা
_
_
_
_
_
_
_
_
_