এখনও নিখোঁজ ‘মাথা’, দত্তপুকুর খুনে ত্রিকোণ প্রেমের জট! গ্রেফতার ২

0
2

দত্তপুকুরের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হাতের ট্যাটু (Tatoo) দেখেই মৃতদেহ সনাক্ত করল পরিবার। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে এখনও নিখোঁজ ‘কাটা মুণ্ডু’। তবে মৃতদেহ সনাক্তকরণের পর এই ঘটনায় জট অনেকটাই খুলল। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে ত্রিকোণ প্রেমের (triangular love) কাহিনী। সেই প্রতিশোধেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় গাইঘাটার বাসিন্দা হজরত লস্করকে। খুনের অভিযোগে তারই আত্মীয় ওবায়দুল গাজি ও তার স্ত্রী পুজা দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর এই তিনজনের মধ্যেই ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে অনুমান পুলিশের।

বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Barasat Medical College and Hospital) হজরতের দেহ সনাক্ত করে তার পরিবার। গাইঘাটা থানায় তার পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি করার পরে সেই সূত্র ধরে তাদের দেহ সনাক্ত (identification) করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়। তারা মর্গে হাতের ট্যাটু (tatoo) দেখে দেহ সনাক্ত করে। সম্প্রতি বরাহনগরের ঝুপড়ি এলাকায় থাকত হজরত। সেখান থেকেও কয়েকদিন ধরে সে নিখোঁজ ছিল। সেখানেই উঠে এসেছে হজরতের একাধিক বিয়ের তত্ত্ব। অভিযোগ, হজরত একাধিক বিয়ে ও একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে ছিল।

দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার লক্ষ্মীকান্তপুরের বাসিন্দা পুজা দাসের সঙ্গেও একসময় হজরতের সম্পর্ক ছিল। পরে পুজার বিয়ে হয় ওবায়দুলের সঙ্গে। কিন্তু তারপরেও হজরত তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখে বলে অভিযোগ ওবায়দুলের। তার জেরেই ওবায়দুল হজরতকে নৃশংসভাবে খুন করে বলে অনুমান পুলিশের।

তবে এই ঘটনায় আরও একটি তত্ত্ব উঠে এসেছে। সম্পর্কে হজরতের ভাই ওবায়দুল। পারিবারিক কারণেও খুন হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। সেক্ষেত্রে দুই ভাই একই কাজে যুক্ত থাকার সময় টাকা পয়সা নিয়ে বিবাদের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। পুলিশ ওবায়দুল ও পুজাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাবে। সেই সঙ্গে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই খুঁজে বের করার চেষ্টা চালানো হবে কাটা মাথা কোথায় রাখা হয়েছে।