শিক্ষা শেষে চাকরি পাকা হতে সময় নষ্ট নয়: পথ খুলে দিচ্ছে BGBS

0
2

রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে শুধুমাত্র সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও এমনভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), যা একদিকে শিক্ষাকে কর্মমুখি ও অন্যদিকে আন্তর্জাতিক স্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে দিয়েছে। সেই লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে (BGBS) নতুন পাঁচ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও লগ্নির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বলে জানালেন অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান হর্ষবর্ধন নেওটিয়া (Harshavardhan Neotia)।

বাংলার শিক্ষানীতি নিয়ে বলতে গিয়ে হর্ষ নেওটিয়া জানান, রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে একাধারে যেমন গুণগত মান বাড়ানো হয়েছে, তেমনই সিট সংখ্যা বাড়িয়ে শিক্ষার সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। সেই উদ্দেশ্যে বিজিবিএস-এর (BGBS) দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে পাঁচটি বিষয় আলোচিত হয়। তার মধ্যে প্রথম ট্রান্সফর্মেটিভ এডুকেশন (transformative education), যেখানে কীভাবে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ভবিষ্যৎ পড়ুয়াদের কাজের উপযুক্ত করে তোলা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়। দ্বিতীয়, উচ্চশিক্ষা (Higher education), যাকে আরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীমুখি করে তোলার জন্য আলোচনা হয়। তৃতীয়, রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (Research and Innovation), যা নতুনভাবে ভেবে দেখা হয়। চতুর্থ, অ্যাকাডেমিয়া ইন্ডাস্ট্রি সিনার্জি-র (Academia Industry Synergy) মাধ্যমে শিক্ষাশেষে কর্মসংস্থান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। শিক্ষানবিশ অংশ গুরুত্বপূর্ণ হলেও যাতে পাশ করার পরে শিক্ষার্থীদের বেশি সময় শিক্ষানবিশ হয়ে চাকরি পাকা করার জন্য অপেক্ষা না করতে হয় তার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পঞ্চম, আন্তর্জাতিকরণ (Internationalisation), যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা করা হবে।

শিল্প সম্মেলনে বাংলার শিক্ষা ক্ষেত্রের গুরুত্ব স্পষ্ট করতে গিয়ে হর্ষ নেওটিয়া (Harshavardhan Neotia) জানান, শিক্ষাক্ষেত্র বাংলার অর্থনীতিতে সিদ্ধান্তগ্রহণকারী ও কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিয়েছে। তার কারণ হিসাবে তিনি তুলে ধরেন, এই ক্ষেত্র সরাসরি যথেষ্ট কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে। তাছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ মানুষ তৈরি করার কাজ করেছে বাংলার শিক্ষা ক্ষেত্র, জানান নেওটিয়া।