মহাকুম্ভে পুণ্যস্নানের কোনও বিশেষ দিন নয়। তবু বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারিকেই বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সকাল সকাল প্রয়াগরাজে (Prayagraj) ডুব। দিল্লি নির্বাচনের দিন ফের একবার খবরে থাকার চেষ্টায় তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা নির্বাচনেও ঠিক একইভাবে বেছে বেছে নির্বাচনের দিনগুলিতে পরবর্তী দফার নির্বাচনক্ষেত্রের কাছাকাছি ভোটপ্রচারের অনুষ্ঠান রাখতেন। এবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে সেরকম সুযোগ না থাকায় মহাকুম্ভকেই (Mahakumbh) বেছে নিলেন মোদি। কেন্দ্রীয় বাজেটে (Union Budget 2025) দিল্লি নির্বাচনকে মাথায় রেখে লাখপতিদের কর ছাড়ের ঢালাও ঘোষণা করেছেন মোদির অর্থমন্ত্রী। তাতেও দিল্লি জয় হচ্ছে না দেখেই মহাকুম্ভে ডুব মোদির, কটাক্ষ বিরোধীদের।
বুধবার সকালে প্রয়াগরাজে পৌঁছান নরেন্দ্র মোদি। সেখানে ত্রিবেণী (Triveni) সঙ্গমে পুণ্যডুব দেন। এরপর ত্রিবেণীতে আরতিও করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। আরতি শেষে চেনা হাত নাড়ার ভঙ্গিতে ফের ঘাটে ফিরে আসেন স্পিডবোটে। বুধবার সাধারণ পুণ্যার্থীদের ভিড় অন্য় সাধারণ দিনের মতোই ছিল। কারণ মহাকুম্ভের চার পুণ্যস্নানের দিন – ১৪ জানুয়ারি (সংক্রান্তি), ২৯ জানুয়ারি (মৌনী অমাবস্যা), ৩ ফেব্রুয়ারি (বসন্ত পঞ্চমী) বা ২৬ ফেব্রুয়ারি (শিবরাত্রি) কোনওটিই এদিন ছিল না। তা সত্ত্বেও মোদির জন্য ভিআইপি আয়োজন করতে বেজায় নাকাল হতে হয় সাধারণ পুণ্যার্থীদের।
স্পষ্টতই, মহাকুম্ভে ভিআইপি আয়োজনে সাধারণ পুণ্যার্থীদের সমস্যা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যে বোঝা সম্ভব নয়, তা মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর মোদির বক্তৃতাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কোনও বিশেষ বক্তব্যই রাখতে পারেননি কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রেক্ষিতে। নতুন প্রতিশ্রুতি তো দূরের কথা, পুরোনো কর্মসংস্থান, দারিদ্র দূরীকরণ বা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কোনও দিশাই ছিল না সেই বক্তৃতায়। এই বক্তৃতার পরে কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী স্পষ্ট দাবি করেন, মোদি যে জনবিচ্ছিন্ন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর ভাষণে।
মঙ্গলবারের জনবিচ্ছিন্ন বক্তৃতার পরে বুধবার দিনটিকে মোদি মহাকুম্ভে (Mahakumbh) স্নানের (holy dip) জন্য বেছে নেওয়ায় এটাকেই দিল্লি নির্বাচনের (Delhi Assembly Election) দিন ফোকাসে থাকার চেষ্টা বলে দাবি বিরোধীদের। রাজনীতিকরা কটাক্ষ করেন, দিল্লি হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে বুঝতে পেরেই মা গঙ্গার কাছে আকুতি করেছেন মোদি, যদি কোনও শেষ চেষ্টা করা যায়, তা ভেবে।
–
–
–
–
–
–
–





























































































































