বাংলায় দ্বিগুণ বিনিয়োগ করবে রিলায়েন্স। কর্মসংস্থানও দ্বিগুণ হবে। বুধবার নিউটাউনে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। বাংলায় এআই হাব-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিযোগ করবেন রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি। তিনি বলেন, মমতাদি দেশের একজন দক্ষ প্রশাসক। তাঁর নেতৃত্বে বাংলার শিল্পের পরিবেশ সুদূরপ্রসারী। বাংলার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ আম্বানি পরিবারের। বাংলার রিলায়েবল পার্টনার রিলায়েন্স। বাংলার লক্ষ্য সোলার বাংলা সোনার বাংলা। আমাদেরও লক্ষ্য। কারণ আপনাদের বেঙ্গল, আমাদের বেঙ্গল।
মুকেশ আম্বানি এদিন আরও বলেন, বিশ্বমঞ্চে যাবে বাংলার জামদানি শাড়ি। এই বস্ত্রশিল্পেও বিনিয়োগ করবে রিলায়েন্স। এছাড়াও বিনিয়োগ করা হবে জুট, খাদি, ফুড সেক্টরেও। সারা বিশ্বে বিপণন হবে তাঁদের উৎপাদন। এনার্জি সেক্টরেও বিনিয়োগ করবে রিয়ায়েন্স।
কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারে আর্থিক সাহায্যর কথাও বলেন তিনি। বাংলায় রিলায়েন্সের বিনিয়োগের খতিয়ানও তুলে ধরলেন মুকেশ আম্বানি। এদিন মুকেশ আম্বানি বলেন, ”মমতা মানেই বিজনেস। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বাংলায় নবজাগরণ। তাই বিনিয়োগ দ্বিগুন করবে রিলায়েন্স। বাংলায় ৫০ হাজার কোটি বিনিয়োগ হবে। আগামী বছরেই দিঘার কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হবে। এনার্জি সেক্টরে বিনিয়োগ করবে রিলায়্যান্স।”
বাংলার প্রত্যেক বাড়িতে এয়ার ফাইবার এবং জিও ফাইবার পরিষেবা দেখা যাবে। এই পরিষেবা কর্মক্ষেত্রে নতুন দিশারী হবে। আমরা বাংলার বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানাই জিওকে গ্রহণ করার জন্য। জিও মার্টের মতো পরিষেবা বাংলায় উন্নতি করেছে। এখনকার দিনে জলবায়ু ভারসাম্য ঠিক করা উচিত। রিলায়েন্স এখন দেশের সবথেকে বড় বায়ো এনার্জি পরিষেবা দিচ্ছে। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন কালীঘাট মন্দির নতুন ভাবে মেরামত করার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। এই প্রজেক্টের কাজ আমাদের দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। রিলায়েন্সের অনেক ভাল প্রযুক্তিবিদ বাংলাতে কাজ করছে।’’
মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মুকেশ আম্বানি বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ আপনাকে বেছে নিয়েছে নেতৃত্ব দেওয়া জন্য। অটল বিহারি বাজপেয়ী আপনাকে অগ্নিকন্যা বলেন। আপনি এখন সোনার বাংলা গড়ে তুলেছেন। বাংলার জিডিপি জাতীয় স্তরে অনেকটাই বেশি। বাংলা দেশের পূর্ব প্রান্তে নতুন বিনিয়োগের দরজা খুলে দিয়েছে। বাংলা এখন এগিয়ে যাওয়ার দিশারি হয়ে গিয়েছে। বাংলার একক দক্ষতায় পূর্ব ভারত ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গেটওয়ে। রিলায়েন্স ৫জি গ্রামীণ বাংলায় কিছুদিনের মধ্যেই পৌঁছে যাবে। ৯৮.৮% এই রাজ্যে টেলিকম গ্রহণ করেছে।
রিলায়েন্স কর্তা আরও জানান, দেশে সবথেকে বেশি ব্যবহার হয় জিও ডেটা। ডিজিটাল ইন্ডিয়ারও কাজ শুরু। বর্তমানে বিশ্বে এক নম্বর জিও। আগামী তিন বছরে আরও জিও ৪০০ স্টোর হবে বাংলায়। বাংলার মোট ১৩০০ রিলায়েন্স স্টোর রয়েছে। তা বেড়ে ১৭০০ হবে। কলকাতায় সবথেকে বেশি জিও গ্রাহক রয়েছে। কলকাতার জিও গ্রাহকদের ধন্যবাদ। আগামী বছর কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হয়ে যাবে। আগামী ৯ মাসে এআই ডেটা সেন্টার তৈরি হবে কলকাতায়। কালীঘাট মন্দির সংস্কারেও রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এগিয়ে এসেছে। বাংলায় লগ্নি তাঁদের কাছে আবেগের সমান। এদিন তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দিনে ৬৪ হাজার স্টেপ হাঁটেন! ‘দিদি’কে দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই।
–
–
–
–
–
–
–
–
–