বারাকপুর সেনা ক্যাম্পে পাক নাগরিক! পুলিশে দায়ের অভিযোগে গ্রেফতার ১

0
2

লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় এসে বারবার রাজ্যের সরকারের দিকে আঙুল তুলে অনুপ্রবেশের দায় চাপানোর চেষ্টা করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আদতে তা যে নিজের দফতরের ব্যর্থতা ঢাকতে, তা বারবার সামনে এসেছে বিএসএফের (BSF) বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারার ঘটনায়। এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাকিস্তানি নাগরিকদের চাকরি পাওয়া নিয়েও অমিত শাহর দফতর কতটা অন্ধকারে, তা সামনে এলো জাল সার্টিফিকেট তৈরির মাস্টারমাইন্ড (mastermind) সামনে আসতেই। সেনা জওয়ান হয়েই ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি ও সেনা চাকরি দেওয়ার ‘ক্ষমতা’ রয়েছে এই ব্যক্তি, অভিযোগ পুলিশের। রাজ্য পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় আদালতের নির্দেশে এবার অভিযুক্ত মহেশ চৌধুরীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাবে রাজ্য পুলিশ।

জুন মাসে বারাকপুর সেনা ছাউনিতে (Barrackpur camp) পাক নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করে সেনা জওয়ান হিসাবে কাজ করার অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্টের নির্দেশে তার তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ ও সিআইডি (CID)। তখনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ফাঁকফোঁকরের দিকটি সামনে আসে। কীভাবে কোনও ব্যক্তির পরিচয় সঠিকভাবে যাচাই না করে ভারতীয় সেনায় অন্তর্ভুক্ত করানো হয়, তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। এরপরই ভুয়ো নথি (fake document) দিয়ে সেনায় অন্তর্ভু্ক্ত হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

সেই তদন্তে নাম উঠে আসে মহেশ চৌধুরী ও রাজু গুপ্তা নামে দুই ব্যক্তির। এরা ভুয়ো নথি একেবারে স্কুল স্তরের শংসাপত্র থেকে দেওয়ার চক্র তৈরি করেছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। সেই সূত্রেই দুই পাক নাগরিককে টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নথি দিয়েছিল এবার এমনটা অভিযোগ। সেই সূত্রেই সিবিআই মহেশ চৌধুরিকে গ্রেফতার করে। তার থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং স্টোর বিভাগে সেপাই (sepoy) পদে থেকেই সেনায় চাকরি দেওয়ার কাজ করত সে। তার জন্য ভুয়ো নথি (fake document) তৈরির বরাতও নিত সে।

সিবিআই (CBI) দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করেছিল। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হলে সিবিআই হেফাজত শেষে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এবার তার সঙ্গে যুক্ত গোটা চক্র ও বিপথে রোজগার করা টাকার খোঁজ চালাবে পুলিশ।